অবশেষে থামল সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। আবু জায়েদ রাহি এবং তাইজুল ইসলামের বোলিংয়ের সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪০৯ রান করেছে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট বাহিনী। এদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যাট করতে নামবে স্বাগতিকরা
দ্বিতীয়দিনের শুরুতে আজ ব্যাট করতে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান বোনার এবং ডা সিলভা। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলতে থাকা এই দুই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানের হাত ধরে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল উইন্ডিজ। দুজনে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। দ্বিতীয় দিনের ১২তম ওভারে মিরাজের করা দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ মিথুনের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন বোনার। তার ৯০ রানের ইনিংসটি ৭টি চারে সাজানো।
এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে আজহারি জোসেফকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস সেরা জুটি গড়েন সিলভা। যথাক্রমে ক্যারিয়ারে নিজেদের দ্বিতীয় টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন জশুয়া ডা সিলভা এবং আজহারি জোসেফ। দলীয় ৩৮৪ রানে তাদের ১১৮ রানের জুটিটি থামে। ইনিংসে ১৩৭তম ওভারের তৃতীয় বলে ১৮৭ বলে ৯২ রান করা জশুয়া ডা সিলভাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। পরের ওভারে এবার জোসেফকে প্যাভিলিয়নে পাঠান টাইগার পেসার আবু জায়েদ রাহি। ১০৮ বলে ৮২ রান করা তার ওয়ানডে ধাচের ইনিংসটি ৮টি চার এবং ৫টি ছক্কায় সাজানো।
জোমেল ওয়ারিকানও ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি রাহি। ২ বলে ২ রান করে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ওয়ারিকান। শেষ উইকেটে কর্নওয়ালকে নিয়ে ১১ রানে জুটি গড়েন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। তাইজুলের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ৮ রান করতে সক্ষম হন গ্যাব্রিয়েল। আর ২ রানে অপরাজিত থাকেন কর্নওয়াল।এর আগে বুধবার দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করতে নামে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনশেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২২৩ রান। এদিন দলের হয়ে ৪৭ রান করেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। আর ওপেনার জন ক্যাম্পবেল খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস।বাংলাদেশে হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি এবং তাইজুল ইসলাম। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান মিরাজ।