২০২১ সালের আইপিএল-এর বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতে চেয়ে বিসিসিআইকে আবেদন করল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। করোনা অতিমারির জন্য আইপিএল মাঝপথে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে বোর্ড প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু ক্রোড়পতি লিগের বাকি ৩০ ম্যাচ আয়োজন করতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডের চার কাউন্টি ক্লাব এমসিসি,সারে, ওয়ারউইকশায়ার এবং ল্যাঙ্কাশায়ার নিজেদের মাঠে আইপিএল-এর ম্যাচ আয়োজন করতে রাজি হয়েছে। এদের ঘরের মাঠ হল যথাক্রমে লর্ডস, কিয়া ওভাল, এজবাস্টন ও ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। প্রতিটি কাউন্টির তরফেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে বিসিসিআই-এর সঙ্গে কথা বলার জন্য।
আর এ বার কুমার সঙ্গাকারা, মহেলা জয়বর্ধনেরদের ক্রিকেট বোর্ড আইপিএল আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করল। যদিও শোনা যাচ্ছে গত বছরের ভাল অভিজ্ঞতার জন্য আইপিএল-এর বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে চলে সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড এত সহজে হাল ছাড়তে রাজি নয়। সেটা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজিং কমিটির প্রধান প্রফেসর অর্জুনা ডি সিল্ভার কথায় পরিস্কার। তিনি বলেন, “চলতি বছরের জুলাই-অগস্ট মাসে আমাদের দেশে শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করা হবে। ফলে আমাদের দেশের ক্রিকেট পরিকাঠামো যে একেবারে তৈরি সেটা তো বুঝতেই পারছেন। তাছাড়া আমাদের দেশের কোভিডের হার খুবই কম। যদিও শুনছি আরব ও ইংল্যান্ড আইপিএল আয়োজন করতে চায়। তবে আমরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। বিসিসিআই কর্তারা রাজি হলে আমরা এই প্রতিযোগিতা আমরা আয়োজন করতেই পারি।”
গত বছর করোনা অতিমারির সময় ক্রোড়পতি লিগ আয়োজন করতে চেয়েছিল ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ। যদিও এই প্রতিযোগিতা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে নিয়ে চলে যায় সৌরভের বিসিসিআই। এ বারও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পাশে দাঁড়াল ইসিবি ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। আরবের ক্রিকেট সংস্থা তো এক পা এগিয়েই রয়েছে। তবে কোভিডের অবস্থা স্বাভাবিক হলে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আইপিএল-এর বাকি ম্যাচ করিয়ে নেওয়ার একটা শেষ চেষ্টা করতে পারেন মহারাজ। এখন বিসিসিআই কোন পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।