বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার পর শুরু হতে তেমন সময় লাগেনি। তবে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়ায় দিনের খেলা আর চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ক্যান্ডিতে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক আগেই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের খেলা। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৪৬৯ রান।
প্রথম দিনের সঙ্গে তুলনা করলে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ নিজেদের করেই নিয়েছে। তুলে নিয়েছে প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট। তবে ক্যাচ মিস আবারও আক্ষেপে পুড়িয়েছে সফরকারীদের। গতকালের মতো আজও একটি ক্যাচ ছেড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।দুই ওপেনারের জোড়া সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে ২৯১ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। খেলা হয়েছিল পুরো ৯০ ওভার। আজ হয়েছে ৬৫.৫ ওভার। নিরোশান ডিকওয়েলা ৬৪ ও রমেশ মেন্ডিস ২২ রানে অপরাজিত আছেন।
তাসকিন আহমেদ একাই নিয়েছেন তিন উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।প্রথম সেশনে জোড়া সাফল্যের পর দ্বিতীয় সেশনে আরও একটি উইকেট তুলে নেন তাসকিন। পাথুম নিশানকাকে (৩০) বোল্ড করেন টাইগার পেসার।দীর্ঘ অপেক্ষার প্রথম সেশনের শেষ দিকে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন। প্রথমে সাজঘরে পাঠান ১৪০ রান করা লঙ্কান ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নেকে। ভাঙেন ১০৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে (৫) বেশিক্ষণ টিকতে দেননি। অফস্টাম্পের বাইরের বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। কিছুক্ষণ পরই ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (২) সাজঘরে পাঠান তাইজুল ৪ উইকেটে ৩৩৪ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই নিজের তৃতীয় সাফল্যের দেখা পান তাসকিন। সেঞ্চুরির কাছে চলে যাওয়া ওসাধা ফার্নান্দোকে (৮১) সাজঘরে পাঠান মিরাজ।পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ পায় তিন সাফল্য। দ্বিতীয় সেশনে ধরা দেয় দুই উইকেট। তৃতীয় সেশনে লঙ্কানদের সপ্তম উইকেট জুটি প্রতিরোধ গড়ে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন। শতরানের জুটি গড়া থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে তারা।
ম্যাচের প্রথম দিন লঙ্কানদের ২০৯ রানের মাথায় ওপেনিং জুটি বিচ্ছিন্ন করেন অভিষিক্ত পেসার শরিফুল। ১১৮ রান করা লঙ্কান অধিনায়ক উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন। আরেক সেঞ্চুরিয়ান থিরিমান্নেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ছয় শিকারের চারটিই লিটনের ক্যাচে।