মে মাসের শেষ সপ্তাহে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের সামনে রয়েছে বড় কয়েকটি চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা থেকে খেলোয়াড়দের নিয়ে আসা ও বিভিন্ন ভেন্যুতে যাতায়াতের ব্যবস্থার অংশটি-ই সবচেয়ে জটিল।
কোভিড মহামারির কারণে এই বছর হচ্ছে না উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্লে-অফের সময় সাধারণত আয়োজন করা হয় নারীদের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টস
সম্প্রতিভারতে কোভিড মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেড়েছে সংক্রামণ ও মৃত্যু। এমন অবস্থায় অনেক দেশই ভারতের সঙ্গে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যে কারণে নারীদের আইপিএল হিসেবে খ্যাত টুর্নামেন্টটির চতুর্থ আসর আয়োজন করতে চায় না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
এবারের আইপিএলের ফাইনাল হওয়ার কথা ৩০ মে। উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠিত হলে তা হবে আইপিএল ফাইনালের আগে, প্লে অফের সময়। অর্থাৎ ফাইনালের এক সপ্তাহ আগে।মে মাসের শেষ সপ্তাহে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের সামনে রয়েছে বড় কয়েকটি চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা থেকে খেলোয়াড়দের নিয়ে আসা ও বিভিন্ন ভেন্যুতে যাতায়াতের ব্যবস্থার অংশটি-ই সবচেয়ে জটিল।
ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে টুর্নামেন্টে আসতে পারবেন না সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, ডিয়ান্ড্রা ডটিন, অ্যালিস পেরি ও ড্যানিয়েলা ওয়াইটের মতো আন্তর্জাতিক তারকারা। তাদের ছাড়া স্থানীয় তারকাদের নিয়ে জমজমাট টুর্নামেন্ট আয়োজনে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ভারতের সামনে।দেশটির ক্রিকেট বোর্ড আনুষ্ঠানিক ভাবে টুর্নামেন্ট বাতিল না করলেও, ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো বিসিসিআই ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, আসর আয়োজনের চ্যালেঞ্জ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল আছে তারা। করোনা পরিস্থিতিতে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায় না বোর্ড।
এর আগে, মঙ্গলবার বিসিসিআই ঘোষণা করে আইপিএল তারা চালিয়ে যাবে। ভারতীয় ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টকে ‘মানবতার খাতিরে’ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায় তারা।টুর্নামেন্টের দলগুলোকে একটি ই-মেইল পাঠান বিসিসিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী হেমাং আমিন। সেখানে তিনি জানান, দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা টুর্নামেন্ট বন্ধ করবে না। বরং দল ও এর খেলোয়াড়দের মানবতার খাতিরে খেলা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ তাদের।
‘যখন আমাদের সবার প্রিয় খেলাটি আপনারা খেলছেন, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ একই সঙ্গে করছেন। যখন আপনারা মাঠে নামছেন আপনারা লক্ষ লক্ষ মানুষকে আশা দিচ্ছেন। এক মিনিটের জন্য হলেও কারও মুখে হাসি ফোটাতে পারলেই আপনারা সফল। আপনারা পেশাদার খেলোয়াড় এবং সবসময় জয়ের জন্যেই খেলে থাকেন। তবে এবারে আপনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্যের জন্য খেলছেন…মানবতা।’