My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


বিদায় বেলায় ঘোরের মধ্যে আছেন রাজ্জাক

শনিবার ঘোরের মধ্যেই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারের ৬০০ উইকেটের মালিক রাজ্জাক। ২০০০-২০০১ সালে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছেন ২০০৪ সালে। এক দশকের বেশি সময় ধরে খেলা এই ক্রিকেটার শনিবার দুপুরে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ২২ গজে শত শত স্মৃতি থাকা এই ক্রিকেটার ঘোরের মধ্যেই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন।

শনিবার দুপুরে বিদায়ে বেলায় ঘোরের মধ্যেই সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন নিজের অনুভূতির কথা, ‘গতকাল পর্যন্ত আমি বলতে পেরেছি আমি ক্রিকেট খেলোয়াড়, এখন থেকে বলতে হবে অন্যকিছু, যা আমার পেশা। হয়ত জিনিসটা সহজে বলতে পারছি। তবে আমার জন্য এত সহজ না। ঘোরের মধ্যে আছি এখনো। ১৯৯৪ সাল থেকে ক্রিকেটে আসা। তখন আমি বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছি। সেই জিনিসটাকে আজ বিদায় বলা সহজ নয়।’

বোর্ড সভাপতি নাজমুল কাছ থেকে বিদায়ী স্মারক পাওয়ার পর বিকেএসপির দুই কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম ও সারোয়ার ইমরানের কথা স্মরণ করলেন রাজ্জাক। তাদের ধন্যবাদ দিয়ে রাজ্জাক বলেছেন, ‘আমি স্পেশাল ধন্যবাদ দিতে চাই ফাহিম স্যার ও ইমরান স্যারকে। তাদের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হতো না ক্যারিয়ারটাকে এতো লম্বা করা। তাদের অবদানের কথা আমি কৃতজ্ঞ চিত্ত্বে স্মরণ রাখবো।’

২২ গজে রাজ্জাককে আর দেখা না গেলেও ক্রিকেটের সঙ্গে থাকবেন আব্দুর রাজ্জাক। মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশারের সঙ্গে নির্বাচন প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন আজ থেকে সাবেক বনে যাওয়া এই ক্রিকেটার। একটা সময় নতুনদের সুযোগ করে দিতে পুরনোদের সরে যেতে হবে, সেটি রাজ্জাক মানের বলেই বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছেন, ‘একটা সময় প্রত্যেক মানুষকেই এক ভূমিকা থেকে অন্য ভূমিকায় যেতে হয়। তারপরও আবেগ বলে যেহেতু একটা কথা আছে আমার মাঝে সেটা খুব কঠিনভাবে কাজ করছে। খুব ভালোভাবে কিছু বলা, গুছিয়ে বলা আমার জন্য একটু কঠিন।’

বিদায় বেলায় পরিবারকে ধন্যবাদ দিতে ভুল করলেন না রাজ্জাক, ‘পরিবারকে সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানাই। এত কম বয়সে বিকেএসপিতে ভর্তি হতে চেয়েছি, তারা রাজি হয়েছে। সাধারণত তার আগে খেলতে গেলে আমরা বকা খেতাম। যত খেলাই খেলেছি সবকিছুতে সাপোর্ট করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতীয় দলে সুযোগ পেলাম। জাতীয় দলে সুযোগ পেলে তো পরিবারের আর কোনো আপত্তি থাকে না। প্রত্যেক সিদ্ধান্ত পরিবারের সাথে কথা বলে নিতাম। আবার নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণেও কখনো আমাকে বাধা দেননি।’

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের বরপুত্র রাজ্জাক। কতটা মিস করবেন তিনি। বর্তমান নির্বাচক রাজ্জাক জানানেল, ‘প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বিশেষ জিনিস। এটা আসলে ভোলার মত না। প্রত্যেক ধাপে ধাপে মনে পড়বে। মিস করব না ঠিক, স্মরণীয় থাকবে। মিস তখন করতাম যদি জোরপূর্বক হয়ে যেত। এটা জোরপূর্বক না, আমারই সিদ্ধান্ত।’