পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুরু হচ্ছে না বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ। এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেছে মাঠের লড়াই। তবে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড যাত্রার সূচিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আগের তারিখ অনুযায়ীই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা করবে বাংলাদেশ।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দল ঢাকা ছাড়বে। বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান। যদিও তিনি নিশ্চিত করে তারিখ জানাননি। বলেছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি রওনা করার সম্ভাবনাই বেশি। আকরাম খান বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট আমাদের দুটি অপশন দিয়েছিল। আমরা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে অপশন ‘বি’ বেছে নিয়েছি। এই জন্য ওরা খেলাটা পিছিয়েছে। খুব সম্ভবত আমরা ২৪ ফেব্রুয়ারি যাচ্ছি।’
নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে বাংলাদেশকে। এরপর কুইন্সটাউনে পাঁচ দিনের ক্যাম্প করার কথা বাংলাদেশের। যদিও ক্যাম্প না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছেন আকরাম খান। কোয়ারেন্টিন, বায়ো বাবলে থাকতে থাকতে ক্রিকেটার হাঁপিয়ে উঠতে পারেন। যে কারণে নিউজিল্যান্ড সফরের পর ক্রিকেটারদের ছুটি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিসিবির এই পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্যাম্পের সম্ভাবনা অনেক কম। সব সময় কোয়ারেন্টিন বা বায়ো বাবলে থাকা খেলোয়াড়দের জন্য খুব কঠিন। এই সিরিজ শেষ হলে ওদের ছুটি দিবো। এরপর হয়তো ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু করা হবে।’১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন চলাকালীন অনুশীলনের সুযোগ পাবে না বাংলাদেশ। ক্রিকেটারদের হোটেলবন্দি হয়েই সময় কাটাতে হবে। তবে বিসিবির ইচ্ছা, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে অনুরোধ করে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের সময় আরেকটু বাড়িয়ে নেওয়া।
আকরাম খান বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা কোয়ারেন্টিনে থাকবে। করোনাকালে আইসোলেশনে থাকাটা মানসিকভাবে খুব কঠিন। একে তো খেলার চিন্তা, তার মধ্যে আবার এমন মানসিক চাপ। আমরা আলোচনা করে নিউজিল্যান্ডকে বলব যেন খেলোয়াড়রা আরও কয়েকদিন বেশি অনুশীলন করতে পারে, আরেকটু বাড়তি সুযোগ সুবিধা পায়।’আগামী ২০, ২৩ ও ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ওয়ানডে। ম্যাচ তিনটির ভেন্যু ডানেডিন, ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটন। ক্রাইস্টচার্চের ম্যাচটি দিবা-রাত্রির হবে। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। ম্যাচ তিনটি ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। নেপিয়ার, অকল্যান্ড ও হ্যামিল্টনে টি-টোয়েন্টিতে লড়বে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড।