তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিতে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করেছে তামিম ইকবালের দল। মনে করা হচ্ছে, কদিন পর থেকে শুরু হতে যাওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটা অতো সহজ হবে না। করোনাভীতির কারণে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার বাংলাদেশ সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলে ওয়ানডে সিরিজে অভিজ্ঞ দল পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু টেস্ট দলের অনেকেই এসেছেন সফরে।
পেস আক্রমণের পুরোটাই এসেছেন। সিরিজে ক্যারিবিয়ানরা যে স্পিনেও কম যাবেন না প্রস্তুতি ম্যাচে সেটা দেখিয়েছেন রাহকিম কর্নওয়াল। টেস্ট সিরিজ অতো সহজে জিততে দেব না, এমন বার্তা কয়েক দিন ধরেই দিয়ে আসছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। বাংলাদেশের তারকা ওপেনার লিটন কুমার দাসও বললেন তেমন কথা। টেস্ট সিরিজের লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে বলেছেন লিটন।শনিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'আমার কাছে যেটা মনে হয়, টেস্টে ক্রিকেটে অনেক দিন পর খেলতে নামছি আমরা। অবশ্যই কঠিন হবে। ওদের খুব ভালো পেস অ্যাটাক আছে এবং স্পিনও আছে।'
কীভাবে এসবের বিপক্ষে সফল হতে হবে সেটাও বলে রাখলেন লিটন, 'অনেক কিছুর ওপর অবস্থা নির্ভর করবে। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হলে অনেক সময় উইকেটে ব্যয় করতে হবে। এবং অবস্থাটা বুঝতে হবে, অবস্থা অনুযায়ী যা করা দরকার তা করতে হবে। সেটা আগে বোলিং পেলেও, ব্যাটিং পেলেও। ব্যাটিংয়ে বড় বড় পার্টনারশিপ, বোলিংয়ে পার্টনারশিপ, ব্যাটিংয়ে পার্টনারশিপ হলে জিনিসগুলো আমাদের পক্ষে আসবে।'ওয়ানডে সিরিজটা ভালো কাটেনি লিটনের। তিন ওয়ানডেতে তার মোট রান ৩৬! প্রথম ম্যাচে ১৪, দ্বিতীয় ম্যাচে ২২, তৃতীয়টিতে রানের খাতা খুলতেই পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাপুটে সিরিজ জয়ের মধ্যে লিটনের এমন ফর্ম বড় আক্ষেপের নাম। ডানহাতি তারকা ওপেনার বলছেন ওসব পেছনে ফেলে টেস্ট সিরিজে ভালো করতে চান তিনি।
লিটন বলেছেন, 'অনেক দিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলছি এটা অনেক খুশির বিষয়। টেস্ট ক্রিকেট তো একেবারেই অন্য রকম একটা জিনিস। দেশের হয়ে টেস্ট খেলার অনুভূতিই অন্য রকম। ওয়ানডে আমি ভালো করতে পারিনি। তবে এটা সম্পূর্ণ আলাদা ফরম্যাট। আমি চাচ্ছি না সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে। এখানে আমার নতুন রোল, চেষ্টা করব এখানে যে রোলটা সেটা ভালো করে প্লে করার জন্য।'ফর্মে ফেরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানালেন লিটন, 'আমার কাছে তো অনেক ভালো মনে হচ্ছে। কারণ ওয়ানডের পর ৭-৮ দিনের একটা গ্যাপের মধ্যে আছি। যেখানে আমরা অনুশীলন করার চেষ্টা করছি নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার। কারণ অনেক দিন পর লাল বলের খেলা।'সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।