লাল দুর্গের রাজত্ব ফিরে পেয়ে নাদালের ২২
কয়েক সপ্তাহ আগেই বাঁ পায়ের চোটে কাতর হয়ে পড়েছিলেন। কোর্ট ছেড়েছিলেন খোঁড়াতে খোঁড়াতে। কিন্তু চোটও যে কিংবদন্তিদের জেদের কাছে বশ্যতা শিকার করে নেয়। ফ্রেঞ্চ ওপেনে নেমে ফের তিনি বুঝিয়ে দিলেন কেন তাঁকে ক্লে কোর্টের রাজা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। নরওয়ের প্রতিপক্ষকে হেলায় হারিয়ে কেরিয়ারের ১৪ তম ফরাসি ওপেন খেতাব জিতলেন রাফায়েল নাদাল।
রোলা গাঁরোয় অপ্রতিরোধ্য নাদাল। সুপার সানডের মেগা ফাইনালেও নেমেছিলেন ফেভারিট হিসেবেই। খেললেন রাজার মতোই। ক্যাসপার রুডকে লড়াইয়ের কোনও সুযোগই দিলেন না। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত চলল নাদাল শো। যদিও দ্বিতীয় সেটে ৩-১ এগিয়ে গিয়েছিলেন রুড। কিন্তু সেখানেই শেষ। নাদালের দাপুটে মেজাজের সামনে কার্যত উড়েই গেলেন প্রতিপক্ষ। স্প্যানিশ তারকার পক্ষে ম্যাচের ফল ৬-৩, ৬-৩, ৬-০।
খেলার স্কোরই বলে দিচ্ছে লড়াইটা কতখানি একপেশে। প্রথম দুটি সেটে সামান্য লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও তৃতীয় সেটে নাদালের সামনে একেবারে অসহায় আত্মসমর্পণই করে দেন রুড। আর সেই সঙ্গে ফরাসি ওপেনের ১৪তম খেতাবটি নিশ্চিত করে ফেলেন নাদাল। তাঁর পছন্দের কোর্টে নজির গড়ে জীবনের ২২তম গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি ঘরে তুললেন নাদাল। এখানেই শেষ নয়, চ্যাম্পিয়ন হয়ে একাধিক রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন তিনি। সবচেয়ে বয়স্ক টেনিসতারকা হিসেবে ক্লে কোর্ট খেতাব জয়ের নজির এখন নাদালের ঝুলিতে। ২০০৫ সালে ১৯ বছর বয়সে প্রথমবার প্যারিসে এই গ্র্যান্ড স্লামের পাশে নিজের নাম খোদাই করেছিলেন নাদাল। তারপর একে একে ১৪টি। কোনও মহিলা কিংবা পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় প্যারিসের এই কোর্টে ১৪টি খেতাব জেতেননি।
দু’দিন আগেই জন্মদিন ছিল তাঁর। আর নিজেকে নিজেই জন্মদিনের সেরা উপহারটি দিলেন স্প্যানিশ তারকা। রজার ফেডেরার, নোভাক জকোভিচকে পিছনে ফেলে এখন টেনিস দুনিয়ার বেতাজ বাদশা রাফায়েল নাদালই।