ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সফল ভাবে আয়োজনের পর এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ৩১৩ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে লাল-সবুজের দল। সিরিজে অংশ নিতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও এসে পৌঁছেছে উইন্ডিজরা। আসন্ন এই সিরিজকে সামনে রেখে তাই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের অনুশীলন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাঝে গেল বছর অক্টোবর-নভেম্বরে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য অনুশীলনে ফেরে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ফেরা হয়নি বাংলাদেশের। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিজ উদ্যোগে আয়োজন করে দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে মাঠের লড়াইয়ে ফেরেন তামিম-মুশফিকরা। এরপর অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ।
ঘরোয়া ছোট ফরম্যাটের দুটি টুর্নামেন্টই ক্রিকেটারদের ফিন্ডিং ছিলো চোখে পড়ার মতো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ফিরবে উইন্ডিজদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়েই। আর সেখানকার চাপ জয় করার চ্যালেঞ্জে পুরোপুরি প্রস্তুত ফিল্ডাররা এমনটিই মত টাইগারদের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মনে হয় ফিল্ডিং সাদা বল কিংবা লাল বল, দুই ক্ষেত্রেই পার্থক্য গড়ে দেয়। অবশ্যই ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় কিন্তু তার মানে এই না যে এটি টেস্টে কম গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় খেলার সব দিক বিবেচনায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডেতে আপনি ক্যাচিং, থ্রোয়িং, গ্রাউন্ড ফিল্ডিং- সব ক্ষেত্রেই পুরো ৫০ ওভার ধরে চাপে থাকবেন। আমি সেই চ্যালেঞ্জটির জন্য মুখিয়ে আছি এবং আমি নিশ্চিত যে ছেলেরাও প্রস্তুত আছে।'
বরাবরই বাংলাদেশের ফিল্ডাররা থ্রোয়িংয়ে ভালো হলেও গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ও ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্বল। কিন্তু এসব দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে কঠোর পরিশ্রম করছেন তামিম ইকবাল - মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। আর এসব দেখেই ফিল্ডারদের নিয়ে আশায় বুক বাধছেন কুক। টেকনিক নিয়ে কাজ করে দুই বছরের মধ্যে ফিল্ডিং অংশকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চান এই ফিল্ডিং কোচ।
কুক আরও বলেন, 'আমার মনে হয় তাদের মধ্যে দারুণ এনার্জি আছে। তারা তাদের ফিল্ডিং নিয়ে পরিশ্রম করছে। তারা অতিরিক্ত কাজ করতে চাচ্ছে এবং দারুণ চেষ্টা করছে যা আমি পছন্দ করি। তাদের টেকনিক নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে, বিশেষ করে ক্যাচিং এবং গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের কিছু দিক নিয়ে। কিন্তু সাধারণত তাদের থ্রোয়িং বেশ ভালো তাই আমি আশা করছি যে তাদের যে উন্নতি করার এই উৎসাহ তা তাদের আগামী দুই বছরে উন্নতি করতে সাহায্য করবে।'
আগামী ২০ জানুয়ারি প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে হবে যথাক্রমে ২২ ও ২৫ জানুয়ারি। ওয়ানডে সিরিজ শেষে হবে সাদা পোশাকের লড়াই। ৩ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়।