ফরচুন বরিশালের এলিমিনেটর ম্যাচে বেশ আক্রমণাত্বক আচরণ করতে দেখা যায় বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে। নিজেদের বোলিংয়ের পুরো ইনিংস জুড়েই বোলারদেরকে বকাঝকা করেন তিনি। মিস ফিল্ডিংয়ের জন্য ফিল্ডাররাও সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি।
আর সেটা করতে গিয়েই যেন বাধে বিপত্তি। ম্যাচের একটা পর্যায়ে স্পিনার নাসুম আহমেদের দিকে বেশ আক্রমণাত্বক ভঙিতে তেড়ে আসেন দলটির অধিনায়ক। যা নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে এমন আচরণের জন্য ইতোমধ্যে নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুশফিক।
মঙ্গলবার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, মাঠের ভেতরে এমন আচরণ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে অদূর ভবিষ্যতে মাঠে এমন আচরণের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।
মুশফিক বলেন, ‘গতকাল ম্যাচ চলাকালীন ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে আমি আমার সকল ভক্ত-সমর্থকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাই। ইতোমধ্যে খেলার পরে আমি আমার সতীর্থ নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত আমি আমার সর্বশক্তিমানের কাছেও ক্ষমা চেয়েছি। আমি সবসময় মনে করি যে আমি একজন মানুষ এবং আমি যেসব অঙ্গভঙ্গি দেখিয়েছি তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি অদূর ভবিষ্যতে মাঠে আর কখনও এমনটির পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।’
ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয় ইনিংসের ১৭তম ওভারের সময়। এই ম্যাচের শেষ লগ্নে এসে যেন নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ওই ওভারে বল করছিলেন ঢাকার তরুণ পেসার শফিকুল ইসলাম। হাফ সেঞ্চুরি করা আফিফ হোসেন ধ্রুব শফিকুলের ওভারের শেষ বলে এক বাউন্সারে স্কুপ করার চেষ্টা করেন।
ঠিক মতো টাইমিং না হওয়ায় সেটা ক্যাচ হয়ে আসে শর্ট থার্ডম্যানে থাকা নাসুমের জন্য। সে সেখানে থাকায় তাঁর জন্য সহজ হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী তিনি তাই বলের ওপর নজর রেখে ক্যাচ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু উইকেটরক্ষক মুশফিক দৌড়ে এসে নাসুমের নিশ্চিত ক্যাচ নিজেই ধরলেন।
এরপর আফিফের আউটের উদযাপন না করে উল্টো নাসুমকে কিছু কড়া কথা শুনিয়ে দেন। হাত নেড়ে মারার ভঙ্গিও করলেন। এর আগেও নাসুমের উপরে চড়াও হতে দেখা গেছে তাকে। ১৩তম ওভারে নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিং করতে দেরি করায় মুশফিকের কড়া কথা শুনতে হয় নাসুমকে।