ফিটনেসজনিত কারণে টুর্নামেন্টের শুরুতে ছিলেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্লেয়ার্স ড্রাফটে নামও ছিল না। সব পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের মাঝপথে ফিরেছেন তিনি। আর ফিরেই বাজিমাত। সেই চেনা লাইন-লেন্থে বোলিং আর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন মাশরাফি। গতকাল সোমবার করলেন টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।
এমন বোলিংয়ের পর সাবেক অধিনায়ক জানালেন, এই সাফল্যের রহস্য নেই, তবে আত্মবিশ্বাস ছিল। ২৬৬ দিন পর ক্রিকেটে ফিরেছেন মাশরাফি। মাঝে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন। সব অনিশ্চিয়তাকে পেছনে ফেলে মাশরাফী জ্বলে উঠলেন চেনা ছন্দে। গতকাল সোমবার গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে চার ওভারে ৩৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি।ম্যাচ শেষে এই সাফল্যের রহস্য জানতে চাইলে মাশরাফি বলেন, ‘কোনো রহস্য নেই সাফল্যের। শুধু ভালো জায়গায় বল করে যাওয়া, এটাই। গত আট-নয় মাস বিরতি দিয়ে ক্রিকেট খেলা সহজ ছিল না। আমার জন্য আদর্শ ছিল না। তবে দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। শুধু নিজের জায়গায় বল করে যাওয়া, এটাই আমি অনেক বছর ধরে করে আসছি। এটাই আত্মবিশ্বাসের একমাত্র কারণ বলা যায়। আমি ঠিক জায়গায় বল করে যেতে পারি। বাকি যা হওয়ার তা তো হবেই।’
মাশরাফি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট মানসিকতার কথা। সময়টা কঠিন ছিল। করোনা পজেটিভ হওয়া সহজ ছিল না। আমি ফিট হওয়ার চেষ্টা করছিলাম, তখনই হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ি। সহজ ছিল না। তবে আমি লেগে ছিলাম। আত্মবিশ্বাস ছিল এই টুর্নামেন্টটা খেলতে পারব। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, এটাই হয়েছে। এরপর কিছু উইকেট পাওয়ায় নিজে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।’মাশরাফীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে উঠেছে জেমকন খুলনা। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ২১০ রান করে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানে থামে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাশরাফী। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর সেরা বোলিং। আগের সেরা বোলিং ছিল ১১ রানে চার উইকেট।হারলেও আশা শেষ হয়ে যায়নি চট্টগ্রামের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ পাবে তারা। আজ মঙ্গলবার বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।