My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পাকিস্তান সফর স্থগিত

পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্ধারিত সফর সূচি ছিল ১২ এপ্রিল। সফরটি দ্বিতীয় দফায় পিছিয়ে করা হয় ১৭ এপ্রিল। কিন্তু করোনার প্রকোপে নির্ধারিত সময়ে আসছে না পাকিস্তান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সম্মিলিত সিদ্ধান্তে এই সফর স্থগিত হয়। 

সফরটি স্থগিত হওয়ার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার এ ই এম কাওসার। তিনি বলেছেন, ‘দেশের করোনা পরিস্থিতি ভালো নয়। আগামী ১৪ তারিখ থেকে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ওই সময় কোন মুভমেন্ট করা যাবে না। এই বিধিনিষেধ বিষয়টি বিবেচনায় আমরা এই মুহূর্তে সিরিজটি স্থগিত করছি। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে আমরা ঈদ উল ফিতরের পর সুবিধাজনক সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সিরিজটি আয়োজনের চেষ্টা করব। এর বাইরে আমাদের হাতে অনেকগুলো অপশন আছে। আশা করি আমার সুবিধাজনক সময়ে আয়োজন করতে পারবো।’

আফগান যুব দলের বিপক্ষে একটি চারদিনের ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলতে মার্চের শুরুতে ভারতের নয়ডায় যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। কিন্তু প্রস্তুতির জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবির হাতে সময়টা যথেস্ট না হওয়ার আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজটি স্থগিত করেছিল বিসিবি। ওই সফর নতুন করে আয়োজনের সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নে কায়সার বলেছেন, ‘আমাদের হাতে সব অপশনই আছে। কিন্তু আমরা আপতত অপেক্ষা করবো। এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ তিনটি দেশেই করোনা পরিস্থিতি ভালো নয়। এই অবস্থায় আফগানিস্তান সফর করা আসলে সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে সব সময়ই আলোচনা হচ্ছে। আমরা সুবিধাজনক যে কোন সময়ে সিরিজটি আয়োজন করতে পারবো।’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দল। স্বাভাবিক ভাবেই পরের বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতিটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু করোনার কারনে প্রস্তুতিটা ঠিকভাবে হচ্ছে না। তারপরও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার মনে করেন অন্য সবগুলো দলের চেয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভালো, ‘আমরা হয়তো ম্যাচ খেলতে পারছি না। পৃথিবীর কোন দেশই আসলে ম্যাচ খেলতে পারছেন না। কেউ যদি খেলার সুযোগ পায়, আমরা পারবো। ম্যাচ বাদে আমাদের খেলোয়াড়রা অনেক ট্রেনিং নিয়েছে। আশা করি যথা সময়ে সেগুলো তারা কাজে লাগাতে পারবে।’১৭ এপ্রিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই ওখান থেকে সোজা সিলেটে চলে যাওয়ার কথা ছিলো পাকিস্তানের। তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করবে সফরকারীরা। সফরে একটি চার দিনের ম্যাচের সঙ্গে পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে তারা।