বিশ্বকাপের দূর্দান্ত সাকিবকে পাওয়া যায়নি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কুড়ি ওভারের ওই টুর্নামেন্টেই ফিরেছিলেন সাকিব। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টেই ব্যাট-বলের ব্যর্থতায় কেটেছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আগের ফর্মে ফিরতে মরিয়া সাকিব। রবিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন সাকিব।
দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সাকিবতো সময়টা আরও লম্বা। ২০১৯ সালের ৫ জুলাই লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর কোন আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেননি সাকিব। অন্যদিকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তারে বিপক্ষে টেস্ট খেলেন তিনি। এরপরই ২০ সেপ্টেম্বর স্পষ্ট ফিক্সিয়ের প্রস্তাব গোপন করে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেই ফিরেছিলেন আইসিসির দশক সেরা ওয়ানডে দলে থাকা এই ক্রিকেটার।
দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে ফিরে ফর্মটা ভালো যায়নি সাকিবের। ব্যাট হাতে ৯ ম্যাচে ১১০ রানের পর বল হাতে ৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। অথচ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ব্যাটিং-বোলিংয়ে দূর্দান্ত পারফরম্যান্স বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে সাকিব তুলে নিয়েছেন ৬০৬ রান। এছাড়া বল হাতে নিয়েছেন ১১ উইকেট। দল সাফল্য না পাওয়াতেই বিশ্বকাপের সেরা পুরষ্কারটি তার হাতে উঠেনি। সাকিবের প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের জায়গায় ফেরার, ‘আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরছি, ভেবে ভালো লাগছে। কোন চাপ অনুভব করছি না। একটা প্রত্যাশা তো সবারই থাকে, আমারও আছে। তো সেই হিসেবে অবশ্যই চেষ্টা করবো সবমিলিয়ে আগের জায়গাতে যেন থাকতে পারি।’ সাকিব আগের জায়গা বোঝাতে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সকেই বুঝিয়েছেন।
করোনার ভয়ে প্রথম সারির ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ সফরে আসছে না। নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, ওয়ানডের অধিনায়ক কিয়েরন পোলার্ডের দেখাদেখি আসছেন না ড্যারেন ব্রাভো, শামার ব্রুকস, রোস্টন চেজ, শেলডন কট্রেল, এভিন লুইস, শেই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরান। এদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কারণে সফরসঙ্গী হননি ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও শেন ডাওরিচ। ফলে বাংলাদেশ সফরে যারা আসছেন, তাদের নিয়ে গঠিত দলটা দ্বিতীয় সারিরই বলা চলে। এমন দলের বিপক্ষে ভালো খেলতে না পারাটা হবে হতাশার। সাকিব বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে দুটি দল দেওয়া হয়েছে, তাদের সাথে যদি আমরা ভালো না করি। তাহলে আমাদের জন্য হতাশার হবে। সে জায়গা থেকে আমি খুবই আশাবাদী যে আমাদের ভালো করা উচিত।’করোনার এই সময়টাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করায় তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন সাকিব, ‘এই কামব্যাকটা ডিফারেন্ট। শ্রীলঙ্কা যেতে পারিনি। যা হতাশার ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধন্যবাদ আসার জন্য।’