প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ব্যাটসম্যানদের দাপটে শেষ হয়েছে। আগের টেস্টে বাংলাদেশ দল ২ উইকেটে ৩০২ রান করে প্রথম দিন শেষ করেছিল। দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কা ১ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ২৯১ রান। বলা হয়েছিল উইকেটে বোলারদের জন্য সুযোগ থাকবে, অন্তত প্রথমদিন শেষে সেটি দেখা যায়নি। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জন লুইসতো বলেই দিলেন প্রথম টেস্টের প্রতিচ্ছবি দ্বিতীয় টেস্টে দেখতে পাচ্ছেন তিনি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহের ভিত গড়েন দুই সেঞ্চুরিয়ান করুণারত্নে ও থিরিমানে। লঙ্কান অধিনায়ক ১১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও ১৩১ রানে অপরাজিত থিরিমানে। তার সঙ্গে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন ৪০ রানে অপরাজিত থাকা ওশাডা ফার্নান্ডো। উইকেটের আচরণ যেমন, তাতে করে দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিকদের বড় রানেই চড়ার কথা। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিং কোচ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটা প্রথম টেস্টের প্রতিচ্ছবি। উইকেট ভালো ছিল। এখন পর্যন্ত পিচে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। তবে আমি আশা করবো, উইকেটে সামনের দিনগুলোতে কিছুটা হলে বোলাররা সাহায্য পাবে, আজকের মতো আগামী চারদিন এমনটা হবে না। এজন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং দেখে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরও এমন কিছু করার বার্তা দিয়ে রাখলেন এই ব্যাটিং কোচ, ‘শ্রীলঙ্কার উপর আমরা চাপ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সেটি খুব ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে। আমরা শিখে নিজেরাও কাজে লাগাব। মনে হচ্ছে শ্রীলঙ্কা বড় রান করবে। আমাদের আরও দুই সেশন ফিল্ডিং করতে হতে পারে। প্রথম টেস্টে আমাদের ভালো পারফরম্যান্স করা ব্যাটসমানরা আছে। আশা করি ওরাও ভালো ব্যাটিং করবে।’প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন মুমিনুল হক। লুইস অবশ্য মনে করেন উইকেটের আচরণ যেমন, তাতে করে টস কোন ফ্যাক্টর নয়, ‘উইকেট যদি প্রথম টেস্টের মতো হয় তাহলে সম্ভবত এটা (টস) কোন ফ্যাক্টর নয়। আগের টেস্টের চেয়ে পিচ খুব একটা বদলায়নি। আমার মনে হয় উইকেট পরের দিনগুলোর জন্য আরও একটু ভাঙ্গবে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বাকি কদিন উইকেট কেমন থাকে।’
২৮ রানেই থেমে যেতে পারতো করুণারত্নের ইনিংস। তাসকিন আহমেদের বল তার ব্যাট ছুঁয়ে গেলে স্লিপে দাঁড়ানো শান্ত তালুতে বল জমাতে পারলেই শেষ হতো লঙ্কান অধিনায়কের অধ্যায়। উল্টো দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে করুণারত্নে পেয়ে যান সেঞ্চুরি (১১৮)। লুইস মনে করেন এই ধরণের উইকেট বলেই সুযোগটা ছিল মহামূল্যবান, ‘আজ খুব বেশি সুযোগ আসেনি। এমনকি দুই টেস্টই একই অবস্থা। সুযোগ তৈরি করা কঠিন হচ্ছিল। বোলারদের এনে দেওয়া সুযোগ লুফে নেওয়া তাই গুরত্বপূর্ণ।’বলের পর বল, ওভারের পর ওভার পার হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের সাফল্য একটি উইকেট। অভিষিক্ত শরিফুল নিজের টেস্ট উইকেটের খাতা খুলেছেন দিমুথ করুণারত্নের মূল্যবান উইকেটটি নিয়ে। যদিও বোলারদের খুব একটা দোষ দিচ্ছেন না লুইস, ‘পুরো দিনে মাত্র একটি উইকেট, খুবই হতাশাজনক। বোলারদের চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু উইকেটে বোলারদের জন্য কিছু নেই। এই সিরিজে আমরা পাঁচ বোলার খেলাচ্ছি। উইকেটের ধরণের হিসেবে সেটা ভাল সিদ্ধান্ত। এখানকার আবহাওয়া খুব উত্তপ্ত। এরমধ্যেও বোলাররা তাদের কাজ করে গেছে।’