My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু ১০ জানুয়ারি থেকে। তার ৪৮ ঘন্টা আগে আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে হোটেল সোনারগাঁ প্যান প্যাসিফিকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকবেন ক্রিকেটাররা। শুধু টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক আর তরুণ অফস্পিনার নাইম হাসান দুই-তিনদিন পর ঐ সুরক্ষা বলয়ে ঢুকবেন।

এদিকে জৈব সুরক্ষা বলয়ের আগে ওয়ানডে (২৪) আর টেস্ট (২০) সিরিজের জন্য প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩০ ক্রিকেটারের সবার কোভিড টেস্ট হয়েছে। শুধু অনুশীলনের জন্য প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারই নয়, সব ভিনদেশি কোচিং স্টাফ, হেড কোচ থেকে শুরু করে কম্পিউটার অ্যানালিস্ট পর্যন্ত সবার কোভিড টেস্ট হয়েছে।শেরে বাংলার মাঠকর্মী, জাতীয় দলের সাপোর্টিং স্টাফ আর হোটেল সোনারগাঁর যে সব স্টাফ জাতীয় দলের বহরের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন- তাদের সবার নমুনা নেয়া হয়ে গেছে বুধবারের মধ্যেই। আজ বৃহস্পতিবার কোভিড টেস্ট অর্থাৎ নমুনা নেয়া হচ্ছে দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের।

সকালে বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমরা আগের মতই ঢাকায় অবস্থানরত ক্রিকেটারদের নিজ নিজ বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করছি। আর যারা ঢাকায় স্থায়ী নন, তাদের নমুনা নেয়া হচ্ছে বিসিবি একাডেমি ভবন থেকে।’ সেই সংখ্যা কত? জানতে চাওয়া হলে দেবাশীষ চৌধুরী জানান, ‘৮-১০ জনের মত হবে। বাকি ২০ জন নিজ বাসায় থেকেই করোনা টেস্টের নমুনা দেবেন।’দেবাশীষ চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ১১টা নাগাদ সবার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। করোনা নেগেটিভরা শুক্রবারই হোটেল সোনারগাঁ প্যান প্যাসিফিকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করবেন।

উল্লেখ্য, এই বহরের সঙ্গে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক আর কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাসনও যুক্ত হবেন। তারা শুক্রবার ভিন্ন ভিন্ন সময় এসে রাজধানীতে পৌঁছাবেন।বিসিবি প্রধান চিকিৎসক জানিয়েছেন, যেহেতু তারা কেউই ব্রিটিশ নাগরিক নন, তাই তাদের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের কোন বড় ধরনের কড়া নির্দেশনা নেই। তাদের জন্য আগেই সরকারের অনুমতি নেয়া আছে। দেশে এসে কোভিড টেস্ট দিয়ে নেগেটিভ হলে তিন দিনের ভেতরই মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। যা তারা আগেও করেছেন।