হ্যামিল্টনে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস এবং ১৩৪ রানে পরাজিত করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৮ রানে গুটিয়ে যাবার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ২৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি। তৃতীয় দিনে ১৯৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শুরু করে সফরকারীরা। কিন্তু নিল ওয়েগনার এবং কাইল জেমিসনের বোলিং তোপে আর পেরে ওঠেনি দলটি।
ওয়েগনার এবং জেমিসন ১০ বলের মধ্যেই উইন্ডিজদের শেষ ৩ উইকেট শিকার করেন। এর ফলে দীর্ঘ ৯ মাস পর মাঠে নেমে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যাবধানে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। রবিবারের এই জয়ের ফলে নিজেদের মাটিতে টানা ১৪ টি ম্যাচে স্বাগতিকদের পরাজিত করতে পারেনি কোন দল।
চতুর্থ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দিন শুরু করেছিলেন জেমিয়েন ব্লাকউড এবং আলজারি জোসেফ। কিউদের আবারো ব্যাটিংয়ে নামাতে তখনো ১৮৫ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। ১৫৫ রানের জুটি গড়ে ব্যাক্তিগত ৮৬ রানের মাথায় জেমিসনের শিকার হন জোসেফ। তারপরের ওভারেরই ওয়েগনারের বাউন্সারে ১০৪ রান নিয়ে ব্যাট করা ব্লাকউডও সাজঘরে ফিরে গেলে কিউদের জয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।
এই দুজনের পর শ্যানন গ্যাব্রিয়েল মাত্র ৪ বল উইকেটে থিতু হতে পারেন। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই তাই ২৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েগনার ৬৬ রানে ৪ টি এবং জেমিসন ২টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টের শিকার ১টি করে উইকেট।
মূলত প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৭ উইকেটে ৫১৯ রানের কাছেই হেরে গিয়েছিল জেসন হোল্ডারের দল। তৃতীয় দিনে জোসেফ এবং ব্লাউডের হাফ সেঞ্চুরি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল। কিন্তু প্রথম ইনিংসে টিম সাউদির ৪ উইকেটের সুবাদে মাত্র ১৩৮ রানেই উইন্ডিজদের গুঁটিয়ে দিয়েছিল স্বাগতিকরা। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তাই আবারো ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ।
সেডন পার্কের সবুজ গালিচায় টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে রেকর্ড ২৫১ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এছাড়া টম লাথাম এবং রস টেলর পর্যায়ক্রমে ৮৬ ও ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে নেমে জেমিসন ৫১ রানের ইনিংস খেললে নিউজিল্যান্ডের রান পাহাড়ে চাপা পড়ে যায় উইন্ডিজরা। যে কারনে টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে ইনিংস ব্যবধানে হারতে হল তাদের।
এই জয়ের ফলে ওয়াল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ স্থানে পৌছে গেল কিউরা। ৮ ম্যাচে ২৪০ পয়েন্ট নিয়ে নিউজিল্যান্ড তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইংল্যান্ডের পরেই রয়েছে। তালিকার সপ্তম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ৪০।