শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেকটা কঠিনই ছিলো মুমিনুরের জন্য। কেননা শ্রীলঙ্কার ইনফর্ম পেসারদের সামনে টপ অর্ডাররা কেমন করে সেটিতো সবারই জানা। তারপরও ঝুঁকিটা নিয়েছেন মুমিনুল। দিনের শুরুতেই সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে এমন কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন বিশ্ব ফার্নান্দো। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটেই লঙ্কানদের সেই পরিকল্পনা নৎসাত করে দেন অভিজ্ঞ তামিম। নাজমুলের ইনিংস গড়ার পেছনের কারিগর এই তামিম। নিজে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও সিনিয়রের কথা শুনে শান্ত ঠিকই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে যান।
৮ রানে সাইফকে হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে পারতেন তামিমই। অভিজ্ঞ তামিম সেই কাজটাই করেছেন। তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে তামিম ২২৫ বলে ১৪৪ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে বড় সংগ্রহের ভীতটা পায় সফরকারীরা। ৯০ রানে তামিম আউট হলেও সিনিয়রের দেখানো পথে সেঞ্চুরির দেখা পান নাজমুল।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সেটাই জানালেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান, ‘তামিম ভাই খুব ভাল ব্যাট করেছে, তার ব্যাটিং দেখেই আমি ধারনা পেয়েছি। ওটাই আমার ব্যাটিংয়ে সাহায্য করেছে। আমি সময় নিতে পেরেছি। বলের মেধা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় ইনিংসটা খুব গুছানো ছিল। খুব বেশি তাড়াহুড়ো করিনি।’
মাঠে নামার পরই তামিম এগিয়ে এসে শান্তর সঙ্গে কথা বলেন। কী এমন টোটকা পেলেন শান্ত, ‘উইকেটে যাওয়ার পর তামিম ভাই বলেছিল, “উইকেট ভাল তুমি ওই অনুযায়ী ব্যাট কর”। ওইটায় মাথায় ছিল। আমি বল দেখেছি, খেলেছি। উইকেট নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করিনি। যদিও নতুন বলে একটু স্যুইং করছিল। কিন্তু ইতিবাচক ছিলাম এটাই আসলে কাজে দিয়েছে।’
তামিমের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটির পর মুমিনুলের সঙ্গেও অবিচ্ছিন্ন ১৫০ রানে জুটি গড়েছেন শান্ত। বৃহস্পতিবার দিনের দ্বিতীয় দিনটিও মনোসংযোগ রেখে খেলতে মুখিয়ে নাজমুল, ‘কালকে (বৃহস্পতিবার) প্রথম সেশনে ব্যাটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করব প্রথম সেশনে কীভাবে ভাল ব্যাট করা যায়। বল দেখব, খেলব যত লম্বা করা যায়।’