১০ ওভারে ১৪২ রানের বিশাল লক্ষ্য। তেড়েফুঁড়ে শুরু করা ছাড়া উপায় ছিল না বাংলাদেশের। সৌম্য সরকার দাপুটে শুরুই করলেন। কিন্তু দীর্ঘ হলো না তার ব্যাটিং সফর। অন্যতম ব্যাটিং ভরসা লিটন দাস ফিরলেন প্রথম বলেই। এরপর বাংলাদেশের বাকি ব্যাটসম্যানরা সেভাবে ব্যাট চালাতে পারলেন না। তাতে আরও একটি হার জমা হলো বাংলাদেশের রেকর্ড বইয়ে।
বৃহস্পতিবার অকল্যান্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৫ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশকে আরও একবার জয়শূন্য থেকে যেতে হলো। ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পঞ্চপাণ্ডব মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছাড়া খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। তারুণ্যের জয়গানের পরিবর্তে এই ম্যাচ থেকে মিললো রাজ্যের হতাশা। এই হারের মধ্য দিয়ে দুঃস্বপ্নের এক সফর শেষ হলো বাংলাদেশের।
বৃষ্টি বাধায় ম্যাচ কমে আসে ১০ ওভারে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। আগে ব্যাটিং করে মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৪১ রান তোলে কিউইরা। জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ৭৬ রানে। ১০ ওভারের ম্যাচেও ৯.৩ ওভারে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম শেখ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৯ রান করেন। সৌম্য সরকার ১০ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১৩ রান করেন। বাংলাদেশের এই তিন ব্যাটসম্যানই কেবল দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। কিউই লেগ স্পিনার টড অ্যাস্টল মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। অধিনায়ক টিম সাউদি নেন ৩টি উইকেট।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হয় ঘণ্টা তিনেক পর। সময় স্বল্পতায় ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমে আসে। এমন ম্যাচে কীভাবে শুরু করতে হবে, তা ভালো করেই জানা ছিল নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেনের। নেমেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন এ দুজন। টি-টেনে পরিণত হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের কোণঠাসা করে ফেলেন গাপটিল ও অ্যালেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৫.৪ ওভারেই ৮৫ রান যোগ করেন ব্যাটকে খোলা তরবারিতে পরিণত করা নিউজিল্যান্ডের এই দুই ব্যাটসম্যান।মাত্র ১৯ বলে একটি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪৪ রান করে আউট হন গাপটিল। তবে অ্যালেন ছিলেন আরও বিধ্বংসী। মাত্র ১৮ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। ২২ গজে ঝড় তোলা কিউই এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭১ রানের ধুন্ধুমার ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান খরচা করেছেন রুবেল হোসেন। ৩ ওভারে তার খরচা ৩৩ রান। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন, শরিফুল ও মাহেদী।