জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার দায়ে সাকিব আল হাসানকে সবধরনের ক্রিকেটে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এর মধ্যে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ছিল স্থগিত। যে কারণে গেল মার্চে প্রকাশিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সর্বশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ছিলেন না সাকিব আল হাসান।
চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে ইতোমধ্যে মাঠের ক্রিকেটেও ফিরেছেন ওয়ানডের বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ক্রিকেটে ফেরায় অনুমেয়ভাবেই বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। তিনি জানিয়েছেন, এটা সবার ক্ষেত্রেই যা হয় তাই হবে। সে বাংলাদেশের হয়ে খেললেই চুক্তিতে চলে আসবে।
এ প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে সবার ক্ষেত্রে যা হয় তাই হবে। যখনই সে বাংলাদেশের হয়ে খেলবে তখনই সে চুক্তিতে চলে আসবে। যেটা স্বাভাবিকভাবে সবার ক্ষেত্রে যা হয় আরকি।’
আকরামের বক্তব্য অনুযায়ী, সাকিবের চুক্তিতে ফেরার অপেক্ষাটা খুব বেশি দীর্ঘ হচ্ছে না। কারণ সূচি অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সবকিছু ঠিক থাকলে ওই সিরিজে দিয়েই করোনার সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ ও সাকিব। তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেললেই চুক্তিতে ফিরবেন।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরলেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারছেন না সাকিব। বোলিংয়ে নিজের সহজাত রূপ দেখা গেলেও ব্যাটিংয়ে যেন নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন না এই অলরাউন্ডার। তবে আকরাম বিশ্বাস করেন খুব দ্রুতই ফর্মে ফিরবেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে আকরামে ভাষ্য, ‘এটা কঠিন এতদিন পর মাঠে এসে মানিয়ে নেয়া। যেহেতু এক বছরের গ্যাপ ছিল। সে মানসম্মত খেলোয়াড় আসতে বেশি সময় লাগবে না। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট মানিয়ে নেয়ার সময়টা একটু কম। ঠিকই সে জায়গা মতো পারফর্ম করবে।’