বড় হারের সব প্রেক্ষাপট তৈরিই ছিল। পঞ্চম দিনে আর কতক্ষণ টিকতে পারে দেখার ছিল কেবল সেটাই। বাংলাদেশ টিকতে পারেনি ঘন্টা দেড়েকের বেশি। লঙ্কান স্পিনাররা দ্রুতই তুলে নেন বাংলাদেশের শেষ ৫ উইকেট।
সোমবার পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। ১-০ ব্যবধানে হারল সিরিজও।প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া প্রাভিন জয়াবিক্রমা এই ইনিংসে নেন ৮৬ রানে ৫ উইকেট প্রথম শ্রীলঙ্কান হিসেবে অভিষেকেই দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট নেওয়ার অনন্য কীর্তি গড়েন এই বাঁহাতি তরুণ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৭৮ রানে তিনি পেলেন ১১ উইকেট। বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার রমেশ মেন্ডিস। বাকি উইকেট পেয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
৫ উইকেটে ১৭৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে এদিন বাংলাদেশ যোগ করে আর ৫০ রান। দিনের তৃতীয় ওভারেই বাংলাদেশ খায় ধাক্কা। বাঁহাতি স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রমার বলে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও কাবু লিটন দাস। এবার তার সোজা পা সামনে নিয়ে ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন। লাইন মিস করে বল লাগে প্যাডে। জোরালো আবেদনে আউট হওয়ার পর রিভিউ নিয়েও টিকতে পারেননি।লিটন ফেরেন ৪৬ বলে ১৭ রান করে। তাইজুল ইসলাম টুকটাক ব্যাটিং জানেন। তিনি টিকলেন ৩০ বল। কিছুটা সময় দৃঢ়তা দেখানোর পর ধনঞ্জয়া ডি সিলভার অনেক বাইরের বল তাড়া করে ২ রান করা তাইজুল ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
তাসকিন আহমেদকে তুলে নেন রমেশ মেন্ডিস। এদিন সকালে যা রান আসছিল সবই মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে। সুইপ করে রান বের করছিলেন। সেই সুইপই কাল হয় তার।জয়াবিক্রমার বলে তাকে সুইপের চেষ্টায় দেখে দারুণ বুদ্ধিতে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগ থেকে লেগ স্লিপের দিকে আগেভাগে ছুটে যান পাথুম নিশাকা। নেন দারুণ ক্যাচ। ৮৬ বলে ৩৯ করে থামে মিরাজের চেষ্টা। এরপর আবু জায়েদ রাহিকে তুলে ইনিংস মুড়ে দিতে জয়াবিক্রমার লেগেছে আর মাত্র ৩ বল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৪৯৩/৭ (ইনিংস ঘোষণা)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৫১
শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংস: ৪২.২ ওভারে ১৯৪/৯ (ইনিংস ঘোষণা)
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৭১ ওভারে ২২৭ (লক্ষ্য ৪৩৭) (তামিম ২৪, সাইফ ৩৪, শান্ত ২৬, মুমিনুল ৩২, মুশফিক ৪০, লিটন ১৭, মিরাজ ৩৯, তাইজুল ২, তাসকিন ৭, শরিফুল ০, জায়েদ ০ ; লাকমাল ০/১৪, রমেশ ৪/১০৩, জয়াবিক্রমা ৫/৮৫, ধনঞ্জয়া ১/১৯)
ফল: শ্রীলঙ্কা ২০৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: প্রাভিন জয়াবিক্রমা।
সিরিজ: শ্রীলঙ্কা ১-০ ব্যবধানে জয়ী।