সোমবার জুমের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গো সংবাদ সম্মেলনে শুধু তিন নম্বর ব্যাটিং অর্ডারই নয়, নিচের দিকের বাকি ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও পরিস্কার ধারণা দিলেন তিনি।
অনেক দলেই সেরা ব্যাটসম্যানের জন্য বরাদ্দ থাকে তিন নম্বর পজিশন। ওয়ানডেতে ভারতের বিরাট কোহলি, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেলর, ইংল্যান্ডের জো রুট কিংবা বল টেম্পারিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ ‘নাম্বার থ্রি’ ব্যাটসম্যান। ব্রায়ান লারা, কুমারা সাঙ্গাকারা, রাহুল দ্রাবিড়, জ্যাক কালিসের মতো কিংবদন্তিরা ব্যাট করতেন তিন নম্বরেই। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তিন নম্বর পজিশন নিয়ে অনেক দিন ধরে সমস্যায় বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমানদের দিয়ে অনেক চেষ্টা করেও সফল হয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। অবশেষে সাকিবের হাত ধরে এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছিল! কিন্তু হুট করে সাকিবকে আবার তিন নম্বর পজিশন ছেড়ে দিতে হচ্ছে।
তিন নম্বর পজিশন কেন সাকিবকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে এর ব্যাখায় প্রধান কোচ জানালেন, ‘শান্ত দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফেরাটাও দারুণ। বিশ্বকাপে সে তিন নম্বরে অবিশ্বাস্য ছিল। এই মুহূর্তে বলতে পারি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে চার, পাঁচ ও ছয়ে সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদ খেলবে। এটা মিডল অর্ডারকে পরিণত ও অভিজ্ঞতা দেবে। উপমহাদেশে খেলতে গেলে আমরা জানি মিডল অর্ডার খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর সাকিব দীর্ঘদিন ওয়ানডে খেলনেনি। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও ব্যাটিংয়ে কিছুটা ছন্দহীন আছেন সাকিব। অন্যদিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুন খেলে দূর্দান্ত ফর্মে থাকা শান্তকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট, ‘শান্ত গত কিছুদিন ধরে বেশ ভালো টাচে আছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত সিরিজে সে খেলেছে। আমাদের তরুণ ক্রিকেটার গড়ে তুলতে হবে। উপমহাদেশে সেরা তিন হচ্ছে তরুণ খেলোয়াড় গড়ে তুলার আদর্শ জায়গা।’
পাশাপাশি প্রধান কোচ আরও যোগ করে বলেছেন, ‘সাকিব অনেক দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে না। কাজেই চার নম্বর পজিশনে খেলেলে তার জন্য ভালো হবে, সময় নিয়ে সে ব্যাটিং করতে পারবে। আমরা সকলে জানি সে বিশ্বকাপের ক্রিকেটার। কিন্তু ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে আমাদের সম্ভাব্য সব বিকল্প দেখা দরকার।’