My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


শুভাগতর ব্যাটে মান বাঁচলো খুলনার

রাজশাহী-বরিশাল যে উইকেটে ঝড় তুলেছেন, সেই একই উইকেটে হতাশা উপহার দিয়েছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মাশরাফিদের নিয়ে গড়া জেমকন খুলনা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মাশরাফির ফেরার ম্যাচে পুনরো ম্যাচগুলোর পুনরাবৃত্তি করেছে খুলনা। শুভাগত ১৩ বলে ৩২ রানের ঝড় না উঠালে কঠিন পরিস্থিতেই পড়তে হতো খুলনাকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ ১৫৭ রান।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা খুলনার শুরুটা ভালোই করছিলেন। কিন্তু দলীয় ৩৩ রানে শরিফুলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান (১৫)। তাতেই ঘটে ছন্দপতন। জহুরুল ইসলাম, মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসানকে দ্রুত হারায় খুলনা। আগের ম্যাচগুলোর মতো এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। খেলেন ১৬ বলে ১৫ রানের ইনিংস। জহুরুলের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২৬ রানের ইনিংস। 

স্পিনের বিপক্ষে দ্রুত রান তোলতে পাঠানো হয়েছিল মাশরাফিকে। ৮ মাস ২২ দিন পর মাঠে নামা মাশরাফিও ফিরেছেন শূন্য হাতে। অবশ্য মাশরাফির ব্যর্থতায় দায় মোটেও তার নয়। সাকিবের সোজা খেলা একটি শট রাকিবুলের হাতে লেগে স্ট্যাম্প উপড়ে যায়, তাতে রান আউট হন মাশরাফি। ৬৬ রানে চার উইকেট হারানো খুলনার মান বাঁচানোর চেষ্টা করেন ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটি। দুইজন মিলে ৪৩ রান যোগ করে স্কোরবোর্ডে একশো রান তোলেন। 

ইমরুল ২৩ বলে ২৪ রান করে আউট হওয়ার পর, সঙ্গীকে হারিয়ে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহও। শরিফুলের বলে ক্লিন বোল্ড হওয়ার আগে ১৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন খুলনার এই অধিনায়ক। শেষ দিকে শুভাগত হোমের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ১৫৭ রান তোলে খুলনা। ১৩ বলে শুভাগত খেলেন অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস।চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে ৩৪ রান খরচায় শরিফুল তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ৩৬ রানে দুটি এবং মোসাদ্দেক হোসেন ২৩ রানে ও জিয়াউর ১৮ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন।