গোটা ম্যাচে একাধিক সেভ। পেনাল্টি শুট-আউটে বিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করা। দেশকে সেমিফাইনালে তুলতে সবরকমই চেষ্টা করেছিলেন ইয়ান সমার। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না তাঁর সতীর্থদেরই ব্যর্থতায়। স্পেনের কাছে পেনাল্টি শুট-আউটে ১-৩ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিল সুইৎজারল্যান্ড। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১।
গোটা ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের শেষ ৩০ মিনিট ছাড়া সে ভাবে চোখেই পড়েনি স্পেনের আক্রমণ। বরং প্রতি আক্রমণে বারবার মন জয় করে নিচ্ছিল ভ্লাদিমির পেতকোভিচের সুইৎজারল্যান্ডই। এমনকী, দশ জন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও শেষ ৫০ মিনিটে তারা যে ভাবে খেলেছে তার জন্য প্রশংসা প্রাপ্য।
শুরু থেকেই ম্যাচের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল স্পেন। ৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্পেন। বক্সের বাইরে থেকে সাইড ভলি মেরেছিলেন জর্ডি আলবা। সুইৎজারল্যান্ডের ডেনিস জাকারিয়ার পায়ে লেগে তা গোলে ঢোকে। গোলকিপার সমারের কিছু করার ছিল না।
সুইৎজারল্যান্ড ছেড়ে কথা বলেনি। জারদান শাকিরি, হ্যারিস সেফেরোভিচরাও একটানা আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কোনও দলের কাছেই সে ভাবে গোলের সুযোগ আসছিল না।
গোলসংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে আলভারো মোরাতাকে তুলে জেরার্ড মোরেনোকে নামান স্পেনের কোচ লুই এনরিকে। কিন্তু আক্রমণে ঝাঁজ বেশি সুইৎজারল্যান্ডের দিক থেকেই। সেই আক্রমণ থেকেই গোল তুলে নেয় তারা।
শাকিরি সমতা ফেরালেও গোলের পিছনে অবদান দুই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পাউ তোরেস এবং আয়মেরিক লাপোর্তে। ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল পড়ে শাকিরির সামনে। মাথা ঠান্ডা রেখে উনাই সিমনের পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।