নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। যদিও সেখানে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। তবে সাকিবকে নিয়ে উদ্বিগ্ন নন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের এই ওয়ানডে অধিনায়ক মনে করেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সে দারুণভাবে ফিরে আসবে।
টি-টোয়েন্টি কাপে সাকিবের দল জেমকন খুলনা চ্যাম্পিয়ন হলেও ফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। শ্বশুরের অসুস্থতার খবর শুনে ফাইনালের আগে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ফিরে যাওয়ার আগে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচের পাশাাপাশি কোয়ালিফায়ারেও খেলেছিলেন তিনি।
যদিও দীর্ঘদিন পর ক্রিকেট ফিরে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। ব্যাট হাতে ওই টুর্নামেন্টটিতে ৯ ম্যাচে ১২.২২ গড়ে করেছিলেন ১১০ রান। যেখানে তাঁর সর্বোচ্চ রান ২৮। আর বল হাতে সমানসংখ্যক ম্যাচে ৬.০০ ইকোনোমিতে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পরও সাকিবেই আস্থা রাখছেন তামিম।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘মোটেও তা নয়, কারণ আমি এমন একজন যে বর্তমান পরিস্থিতি নয় ইতিহাসে বিশ্বাস করি। কারও যদি ইতিহাস থাকে তবে সে যে কোনও সময় টানতে পারে। সাকিবের একটি দারুণ ক্যারিয়ার রয়েছে। আমি দৃঢ় বিশ্বাসী ও এই সিরিজে দারুণভাবে ফিরে আসবে। আমি ওকে নিয়ে উদ্বিগ্ন নই, এটি কেবল আমিই নই সমগ্র জাতি ওর প্রতি বিশ্বাস রাখে।’
করোনার সময়টাতে কোনো টুর্নামেন্ট বা সিরিজে মানেই ক্রিকেটার এবং দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখা। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে ঘরের মাঠে ক্রিকেট ফিরিয়েছে। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও এর ব্যতিক্রম হবে না। দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলাটা সহজ না বলে মনে করেন তামিম। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পারফর্ম না করলে জৈব সুরক্ষা বলয় ক্রমান্বয়ে আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
এ প্রসঙ্গে তামিমের ভাষ্য, ‘এটা বিরক্তিকর কিনা তা নিশ্চিত নই তবে এটি অবশ্যই আমাদের মানসিকভাবে প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যখন পারফর্ম করছেন না তখন এটি সুরক্ষা বলয়ে আরও কঠিন হয়ে ওঠে। কারণ সাধারণত আপনি যখন মাঠে ভালো সময় কাটাচ্ছেন না, তখন হোটেলে ফিরে আসার পরে খেলোয়াড়টি সাধারণত তাদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বের হয়। এটি একজনকে খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করে। তবে এখন হঠাৎ করে আপনি যখন পারফর্ম করছেন না তখন আপনি ঘরে ফিরে এসে এ নিয়ে ভাবতে থাকেন, এ ছাড়া আপনার করার মতো অন্য কোনও কিছু নেই। এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আপনি জানেন যে আপনাকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না তখন এটি সত্যিই কঠিন হয়ে যায়। আপনার চলাচলে সীমাবদ্ধ থাকলে অবশ্যই মানসিকভাবে প্রভাব ফেলে। এটি নতুন একটি জিনিস যা আমাদের অতিক্রম করতে হবে এবং অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সম্ভবত সুরক্ষা বলয়ে আরও অনেক সময় পার করতে হবে। আসুন দেখুন কিভাবে এটি চলে তবে আমি নিশ্চিত এটি সহজ হবে না।’