My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


উৎসবের সেই পরিচিত দৃশ্য ফিরল ফুটবলে

করোনা-আতঙ্ক কাটিয়ে প্রায় দু’বছর পরে উন্মাদনার চেনা ছবি ফিরল ফুটবলে। বুধবার ইউরোপা লিগে ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম ভিয়ারিয়াল দ্বৈরথকে কেন্দ্র করে উৎসবের আবহ পোলান্ডের গেদানস্ক শহরে।

ইউরোপা লিগের ফাইনালে ৯৫০০ দর্শককে স্টেডিয়ামে প্রবেশের ছাড়পত্র দিয়েছে উয়েফা। এর মধ্যে ম্যান ইউ ও ভিয়ারিয়ালের দু’হাজার করে সমর্থকও রয়েছেন। স্যর আলেক্স ফার্গুসন, ম্যান ইউয়ের প্রাক্তন তারকা ওয়েন রুনিও ছেলেকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন ফাইনাল দেখতে।

স্পেন থেকে পোলান্ডে গিয়েছেন ভিয়ারিয়ালের সমর্থক আন্দ্রেয়া মানরিকও। তিনি রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। বলেছেন, “আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। ভিয়ারিয়াল প্রথম বার ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলছে। ঐতিহাসিক মুহূর্ত। অতিমারির জেরে এক বছর পরে আবার কোথাও যেতে পারলাম।” আন্দ্রেয়া যোগ করেছেন, “আতঙ্ক জয় করার জন্যই মানুষের মধ্যে এত উৎসাহ।”

ভিয়ারিয়ালের আর এক সমর্থক পাকো মুনোস অবশ্য রীতিমতো সতর্ক। মুখে জোড়া মুখাবরণ পরেছেন তিনি। বলেছেন, “আতঙ্ক জয় করলেও সতর্ক থাকতে হবে।” জানিয়েছেন, সঙ্গীদের সঙ্গে মুষখাবরণ পরেই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখবেন। বলেছেন, “এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কিছুটা আত্মত্যাগ তো করতেই হবে। আমরা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছি। এখন এই ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতেই হবে।” ইউরোপা লিগের ফাইনাল দেখতে অনেকেই পরিবার নিয়ে গিয়েছেন। চার ও এক বছরের দুই শিশু সন্তান এবং শাশুড়িকে নিয়ে খেলা দেখতে যাওয়া নুরিয়া পুলিদো বলেছেন, “বাইরের মাঠে ভিয়ারিয়ালের খেলা দেখতে আগে কখনও যাইনি। প্রথম বারের অভিজ্ঞতা অসাধারণ। বিমানে অনেক যাত্রী থাকায় খুব চিন্তিত ছিলাম।”

সঙ্গীদের সঙ্গে ম্যান ইউয়ের জয়ধ্বনি দিতে দিতে স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে ক্যারি উইলিয়ামস বলেছেন, “আগে যেমন সব কিছু স্বাভাবিক ছিল, এখন পরিস্থিতি অনেকটা সে রকমই।” পোলান্ডের নাগরিক হলেও ওতেক দাবকোয়াস্কি ভক্ত ম্যান ইউয়ের। তিনি বলেছেন, “সমর্থক ছাড়া ফুটবল কল্পনাই করা যায় না। এত দিন পরে স্বমহিমায় ফিরল ফুটবল।” উইলিয়ামস এবং ওতেক, দু’জনকেই অবশ্য হতাশ হতে হয়েছে। ২৯ মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে দুরন্ত ফ্রি-কিকে গোল করে ভিয়ারিয়ালকে এগিয়ে দেন জেরার মোরেনো। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই এডিনসন কাভানির গোলে সমতা ফেরায় ম্যান ইউ।

ইউরো লিগের ফাইনালের চব্বিশ ঘণ্টা আগে অবশ্য অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল আবহ। মঙ্গলবার রাতে একটি পানশালায় বাইরে দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হন ম্যান ইউয়ের সমর্থকেরা। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক দল কালো পোশাক পরা দুষ্কৃতী চিৎকার করতে করতে আক্রমণ করে তাঁদের। চেয়ার, টেবল ভাঙচুর করে। ম্যান ইউয়ের তিন সমর্থক আহতও হন।

কন্তের পদত্যাগ: দীর্ঘ ১১ বছর অপেক্ষার পরে তাঁর কোচিংয়েই এই মরসুমে সেরি আ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইন্টার মিলান। সেই আন্তোনিয়ো কন্তে বুধবার পদত্যাগ করলেন ম্যানেজারের পদ থেকে। করোনা অতিমারির কারণে তৈরি হওয়া আর্থিক সঙ্কটের জন্য আগামী মরসুমে ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইন্টার কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ফুটবলার ও অন্যান্যদের বেতনও কমবে। যা একেবারেই মেনে নিতে রাজি নন কন্তে। এই কারণেই পদত্যাগ করেছেন তিনি। বুধবার ইন্টারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমেই চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে। অসাধারণ অবদানের জন্য ক্লাব কন্তের কাছে কৃতজ্ঞ। ইন্টারের ইতিহাসে সব সময় স্মরণীয় থাকবেন তিনি।”