সরকারি নিয়ম অনুযায়ি সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছিলেন, তাদের কোয়ারেন্টিন কমানো যায় কিনা। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, সাকিব-মোস্তাফিজের কোয়ারেন্টিন কমানোর কোন সুযোগ নেই।
আগামী ২৩ মে থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে আছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। আইপিএল স্থগিত হলেও এই মুহূর্তে তারা আছেন ভারতে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা ভারত থেকে কোনও যাত্রী বাংলাদেশে আসতে পারবেন না। আর আসলেও তাদের কঠোর কোয়েরেন্টিন মেনে চলতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাকিব-মোস্তাফিজের দেশে ফেরা এবং জাতীয় দলে যোগ দেওয়া নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বিসিবি সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় ছিলেন।
কিন্তু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হলে তাদের ওয়ানডে সিরিজ খেলা কঠিন হয়ে যাবে। কেননা সিরিজ শুরু হওয়ার কথা ২৩ মে থেকে। তাই এ ব্যাপারে করণীয় ঠিক করতে সরকারের নির্দেশনা চেয়েছিল বিসিবি। তারপরও মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে বিসিবির আবেদন তারা রাখতে পারছেন না, ‘সাকিব ও মোস্তাফিজের কোয়ারেনটাইন বাধ্যতামূলক। বিসিবির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আবেদন করেছিল কিন্তু আমরা না করে দিয়েছি। কারণ নিয়মানুযায়ী ওদের ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইন করতেই হবে।’
এর আগে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তাদের (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে নাকি তিন দিনের কোয়ারেন্টিনেই চলবে? এ ব্যাপারে আমরা সরকারের নির্দেশনা জানতে চেয়েছি। যেহেতু আইপিএলে সাকিব-মোস্তাফিজ এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা (শ্রীলঙ্কায়) জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই আছেন, তাদের ক্ষেত্রেও ১৪ দিনের নিয়ম প্রযোজ্য কিনা, আমরা তা জানতে চেয়েছি। সরকার যেভাবে বলবে সেভাবেই আমরা অগ্রসর হবো।’
অবশ্য শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশে আসার সূচিটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৬ মে বাংলাদেশে সফরে আসবে শ্রীলঙ্কা। ২১ মে গড়াতে পারে সিরিজের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ। আর ২৩, ২৫ ও ২৭ মে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তিন ওয়ানডে। পরিকল্পনা অনুযায়ি সফরটি হলে সাকিব ও মোস্তাফিজের জন্য সিরিজটি খেলা কঠিন হবে। তবে ২/১ দিনের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশে আসতে পারলে হয়তো মাঠে নামতে পারবেন তারা।
সাকিব এখন আছেন আহমেদাবাদে। আর মোস্তাফিজ স্ত্রীসহ আছেন দিল্লিতে। সাকিব-মোস্তাফিজদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পাশাপাশি বিসিবিও তৎপর। এ ব্যাপরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘আমরা অতি দ্রুত সাকিব-মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। যেহেতু সব কিছু বন্ধ, আমাদের বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি আমরা সাকিব ও মোস্তাফিজের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছি এবং আইপিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করছি।’