সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-ইমরুল-আরিফুল-এনামুলদের নিয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ জেমকন খুলনার। তবুও প্রতি ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগতে হয়েছে খুলনাকে। ৪ ম্যাচে ২ জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে পয়েণ্ট তালিকার তৃতীয় অবস্থানে তারা। বেশিরভাগ ম্যাচই বোলারদের পারফরম্যান্সে জিতেছে খুলনা। ব্যাটসম্যানদের এমন পারফরম্যান্সের পেছনে দীর্ঘ বিরতিকেই দায় দিচ্ছেন।
খুলনার সহকারি কোচ আফতাব আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রায় একটা বছর করোনার কারনে আমাদের গ্যাপ ছিল, সেখান থেকে এসে শতভাগ পাওয়াটা খুবই কঠিন। তারপরও ওরা (ক্রিকেটার) যথেষ্ট চেষ্টা করতেছে এবং ম্যাচে ফিরেছে। আমার মনে হয় ৪ টা ম্যাচে আমরা একটা শেপে আছি এবং বাকি ৪ টা ম্যাচে হয়তো আরও বেটার রেজাল্ট হবে।’
শুধু তাই নয়, আফতাব মনে করেন শুরুর কয়েক ম্যাচ খারাপ খেলার কারনে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার চাপে পড়ে গেছেন। আফতাবের প্রত্যাশা দ্রুতই তারা রানে ফিরবেন, ‘গ্যাপের সময়টায় অনেকের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে, অনেকের ভালো হয়নি। ফলে যাদের ভালো হয়নি তাদের জন্য কাভার করাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তার উপর প্রথম দুই ম্যাচে খারাপ করার পর তাদের (ব্যর্থ ব্যাটসম্যানদের) উপর একটা চাপ তৈরি হয়েছে। এটা কামব্যাক করাটা কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু এখন তারা খুবই ভালো অনুশীলন করছে। আমি আশা করি যে চারটা ম্যাচে রান হয়নি, বাকি চারটা ম্যাচে ভালো রিকভার করবে।’
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে এক বছরের নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। এরপর মাঠে ফিরতে অনুশীলন শুরু করেন। তবে জেমকন খুলনার এই অলরাউন্ডার বল হাতে ভালো করলেও ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি। আফতাবের আশা সাকিবও রানে ফিরতে পারবেন, ‘এক বছর পর মাঠে ফিরে সবকিছু কাভার করা কঠিন। কোন সন্দেহ নেই, সবাই জানেন সে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। সে যে কোন সময় কামব্যাক করবে। কিন্তু সে ভালো শেপে আছে। প্রথম দুই ম্যাচ থেকে এখন বেটার শেপে আছে। ইন শা আল্লাহ পরের চার ম্যাচে ভালো কিছু দেখবেন আশা করছি।’ নিজেরা রান করতে না পারলেও উইকেট নিয়ে কোন অভিযোগ নেই খুলনার সহকারি এই কোচের, ‘উইকেট খুবই ভালো। শেষ ম্যাচে ১৭৫ এর বেশি প্রায় তাড়া করে ফেলছিল।’