আইপিএল-এর কঠোর সুরক্ষা বলয়ে ছিদ্র করে ঢুকে পড়েছিল করোনাভাইরাস। প্রকোপ বাড়তে থাকায় বন্ধই করে দিতে হয়েছে আইপিএল। অনেকেই ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের ঢিলেঢালা মানসিকতাকে দায়ী করছেন। আইপিএল-এর অন্দরে খোঁজ নিয়েও দেখা গিয়েছে, করোনাকে হালকা ভাবে নেওয়া কিছুটা হলেও দায়ী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “প্রতিটি দল এবং বোর্ড প্রচণ্ড চেষ্টা করলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমিরশাহিতে জৈব সুরক্ষা বলয় অনেক কঠিন ছিল। এখানে আলাদা আলাদা তলায় থাকা সত্ত্বেও যাতায়াতে কোনও বাধা ছিল না। অনেককে পুল ব্যবহার করতেও দেখেছিলাম। অনুশীলনের কেন্দ্রগুলিও ছিল অনেক দূরে।” উল্লেখ্য, গত মরসুমে প্রতিযোগিতা চলাকালীন কারওর করোনা ধরা পড়েনি।
বাংলার ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামীর অবশ্য মনে হচ্ছে না কোনও ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফ নিয়ম ভেঙেছেন। তিনি বলেছেন, “বলয়ের ভেতরে আমাদের নিরাপত্তা অটুট ছিল। কেউ সেটা ভাঙেনি। কিন্তু ভাইরাস একবার প্রবেশ করার পর সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল, বিশেষত বিদেশিরা। আমরা খেলোয়াড়। আজ যদি আমাদের করোনা হয় তাহলে হয়তো সেরে উঠব। কিন্তু যদি আমাদের উপসর্গ না থাকে এবং সেটা পরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে দিই তখন কী হবে? বেশিরভাগ ক্রিকেটারই এই ভয়টাই করছিল। পরিবারের কেউ আক্রান্ত হোক সেটা ওরা চায়নি।”
শ্রীবৎস আরও জানিয়েছেন, “বাইরে কী হচ্ছে না হচ্ছে সবই জানতে পারছিল বিদেশি ক্রিকেটাররা। ওরা নেটমাধ্যমে অনেক বেশি সক্রিয়। ওরা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিল।”