My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


কমছে সাকিব-মোস্তাফিজের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদকাল!

গত বৃহস্পতিবার থেকে সাকিব-মোস্তাফিজের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শুরু হয়েছে। ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষ হবে আগামী ২০ মে। কিন্তু দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থেকে ২৩ মে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলা খুব কঠিন। ফলে সাকিব-মোস্তাফিজের কোয়ারেন্টিন কমানোর জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি। আর তাতে আশা দেখছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিবি)।

সাকিব-মোস্তাফিজ দেশে ফেরার আগ থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাদের কোয়ারেন্টিন কমানো নিয়ে দেনদরবার করে আসছিল বিসিবি। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘সাকিব ও মোস্তাফিজের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। বিসিবির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আবেদন এসেছিল, কিন্তু আমরা না করে দিয়েছি। কারণ নিয়মানুযায়ী ওদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করতেই হবে। তারা (বিসিবি) বলেছিল প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন না করে হোম কোয়ারেন্টিন করার জন্য। আমরা বলেছি, ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে এটা করা যাবে না। এ বিষয়ে কেবিনেটের অর্ডার আছে, এটা করতে হবে। কেউ যদি এরপরও চলে যায়, এটা তার দায়িত্বে যাবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলা আছে। বিষয়টি আমরা তাদের জানিয়ে দেবো।’

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা ভারত থেকে কোনও যাত্রী বাংলাদেশে আসতে পারবেন না। আর আসলেও তাদের কঠোর কোয়েরেন্টিন মেনে চলতে হবে।বিসিবি অবশ্য এখনো জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে কোয়ারেন্টিন কমাতে। এ ব্যাপারে রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘একটা জিনিসই আমরা কনফিউজড হয়ে আছি সবাই। এখানে এটা কোন স্পেশাল বা প্রিভিলাইজডের বিষয় না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা বিশ্বের খেলাধুলাতে আলাদা প্রটোকোল আছে। আমাদের দেশের যে প্রটোকোল আছে, সেগুলো কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য। কিন্তু ক্রীড়াবিদদের জন্য প্রটোকল কিন্তু পুরোপুরি ভিন্ন।’

উদহারণ দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘সাধারণ যাত্রীরা যাত্রীবাহি বিমানে আসছেন। তারা একটা টেস্ট নেগেটিভ দিয়ে আসছেন। সরকারের প্রটোকল মেন্টেইন করছেন। সেক্ষেত্রে আর কোন টেস্টেও যাচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের স্পোর্টস ইভেন্টে যারা অংশগ্রহণকারী হন তারা কিন্তু নির্দিষ্ট প্রটোকল মেনে আসতে হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরীক্ষা তাদের করতে হয়। টেস্টে নেগেটিভ হলেই অংশ নিতে পারে।’নিউজিল্যান্ডের উদহারণ টেনে প্রধান নির্বাহী আরও বলেছেন, ‘আপনারা জানেন নিউজিল্যান্ড করোনামুক্ত , সেখানে কোন ভিজিটর অ্যালাউড না। সেখান থেকে কিন্তু বাংলাদেশ দল খেলে এসেছে। ইভেন্টের ক্ষেত্রে কোভিড প্রটোকোল সাধারণ জনগনের সঙ্গে সম্পূর্ণ আলাদা। ‘

সাকিব-মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করার কথা থাকলেও এ ব্যাপারে নমনীয় হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দুইবার ক্রিকেটারদের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হতে পারবেন ভারত ফেরত দুই ক্রিকেটার। বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘আমরা ওদের কোয়ারেন্টিনের সময় কমানোর চেষ্টা করছি। আজকেই একটা গ্রিন সবুজ সঙ্কেত পেয়েছি। তাদের দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই তারা অনুশীলনে যোগ দিতে পারবে।’শনিবার বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কী সিদ্ধান্ত দেয়, সেই অপেক্ষায় বিসিবি!