শনিবার ক্যান্ডিতে চরম হতাশার দিন পার করেছে বাংলাদেশ দল। দ্রুত দুই উইকেট গেলেও তামিম-মুমিনুল-মুশফিকরা বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছিলেন। কিন্তু তামিম-মুমিনুলের বিদায়ে আবারও ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশ দলের। ৩৭ রানে শেষ সাত উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৫১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারন হিসেবে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মনে করেন লম্বা সময় মাঠে থাকার কারনে মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তিতেই ব্যাটসম্যানরা খেই হারিয়েছেন!
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটা (ব্যাটিং ধস) বেশ কিছু জিনিসের সমন্বয়। ছেলেরা গত ৪-৫ দিনে অনেক সময় মাঠে কাটিয়েছে, তারা হয়ত মানসিকভাবে একটু ক্লান্ত। আমার মনে হয় আমরা শেষ ৪-৫ দিনে প্রায় ৩৭০ ওভারের জন্য মাঠে ছিলাম, যা অবশ্যই একজন ক্রিকেটারকে ক্লান্ত করে ফেলে শারীরিক এবং মানসিকভাবে। সেটি একটি কারণ হতে পারে। অবশ্যই সেখানে একটি বা দুটি সফট ডিসমিসাল ছিল।’প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর ডমিঙ্গো তাকিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের দিকে, ‘আমাদের দ্বিতীয় ইনিংস এখনও বাকি আছে এবং আমাদের নিজেদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে সেটির জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডমিঙ্গো কোন ভাবেই উইকেটকে অজুহাত হিসেব দাঁড় করাতে চান না, ‘না, কোনো অজুহাত নেই। ছেলেরা তাদের সর্বোচ্চটা দিয়েছে, তারা অনেক পরিশ্রম করছে, তারা চেষ্টা করছে। অজুহাত নয়, কিন্তু মাঠে অনেক সময় কাটানোয় তারা হয়ত মনোযোগে একটু ঘাটতি হয়েছিল ব্যাটিংয়ের সময়। আপনাদের মনে রাখতে হবে ছেলেরা প্রায় ৩৮০ ওভার মাঠে কাটিয়েছে। সেটা মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রভাব রাখে এবং সেটিই হইয়ত আজকে আমাদের ব্যাটিং ধসের আংশিক কারণ।’
উইকেটে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করেও অধিনায়ক মুমিনুল হক লো ফুলটসে এলবিডব্লিউ হয়েছেন। স্লিপে ক্যাচ দেন তামিম, নাজমুল হোসেন শান্তও। সোজা বল খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ৪০ রান করা মুশফিকও। তামিম-মুশফিকদের উইকেট কি মানসিক ক্লান্তির ফসল? এমন প্রশ্নে ডমিঙ্গোর উত্তর, ‘না, আমার মনে দুটি মিলিয়েই হয়েছে। তারা সেট ছিল এবং ভালো খেলছিল। কিন্তু ছেলেরা পরিশ্রম করছে, অনেক চেষ্টা করছে, তারা মাঠে পরিশ্রম করছে, নেটে করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ব্যাটিংয়ের সময় কিছু বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ‘