তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে বেশিরভাগ সেশনই আধিপত্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। রিশাদ হোসেন ও খালেদ আহমেদ মিলে প্রথম দিনই কেবল সফরকারী ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরতে পেরেছিল। বাকি দিনগুলোতে নুরুল হাসান সোহানের দলকে ক্যারিবীয় চোল রাঙানি দেখতে হয়েছে! ওয়ানডের মতো সহজ হবে না টেস্ট সিরিজ জয়- তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটিতে আধিপত্য বিস্তার করে ক্যারিবীয়রা, মুমিনুলের দলকে এমন বার্তাই দিয়ে রাখলো।
প্রথম ইনিংসে প্রায় ৭৯.১ ওভার ব্যাটিং করেছে সফরকারীরা। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট উইকেট আকড়ে ধরে ছিলেন। তার দৃঢ়তায় ২৫৭ রান জমা করে তারা। বাংলাদেশের সাফল্য বলতে শেষ সেশনে ক্যারিবীয়দের অলআউট। রিশাদ হোসেন ৭৫ রানে ৫ এবং খালেদ আহমেদ ৪৬ রানে তিন উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে ভূমিকা রাখেন।
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মরা উইকেটেও মুখ তুবড়ে পড়েছে বিসিবি একাদশের ব্যাটিং লাইনআপ। বিশেষ করে রাকিম কর্নওয়াল(৫ উইকেট) ও জোমেল ওয়ারিক্যানের (৩ উইকেট) স্পিন ভেল্কিতে ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় নুরুল হাসান সোহানের দল। সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে নাঈম শেখের ব্যাট থেকে। এছাড়া অধিনায়ক নুরুল হাসান খেলেন ৩০ রানের ইনিংস।
৯৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও বিসিবি একাদশের বোলারার ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলতে পারেননি। ৮৯.২ ওভার ব্যাটিং করে ২৯১ রানে অলআউট হ সফরকারীরা। জন ক্যাম্বেল ৬৮ ও বনার ৮০ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশি বোলারদের আক্রমণকে বৃদ্ধাঙলি দেখিয়ে।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও তিন উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। পেসার মুকিদুল নেন চারটি উইকেট। এছাড়া অনিয়মিত স্পিনার সাইফ হাসান নেন দুটি উইকেট।বিসিবি একাদশের দ্বিতীয় ইনিংসেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। পর পর দুই ওভারে দুই উইকেট হারায় তারা। ওপেনার সাইফ হাসান ৭ ও নাঈম শেখ রানের খাতা না খুলেই আউট হন। সাদমান ইসলাম ২৩ ও ইয়াসির আলী ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ সেশনে সময় না থাকায় ম্যাচটি নিষ্প্রাণ ড্রতে নিষ্পত্তি হয়। ক্যারিবীয় পেসার রেমন রেইফার দুটি উইকেট নিয়েছেন।
তিনদিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচেই ক্যারিবীয়রা জানান দিয়েছেন টেস্ট সিরিজটি মোটেও সহজ হচ্ছে না। মুমিনুলের দলকে জিততে গেলে ওয়ানডে সিরিজের চেয়েও ভালো পারফরম্যান্স দিতে হবে। সেটি বোধ হয় এতোক্ষণে টিম ম্যানেজমেন্ট আলোচনাও করে ফেলেছেন!