চলতি মাসে দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। দীর্ঘ ১৪ বছর পর পাকিস্তানে সফর করবে প্রোটিয়ারা। কিন্তু প্রতিপক্ষের চেয়ে দেশটির জৈব সুরক্ষা বলয়কে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কুইন্টন ডি'কক।
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে ধবলধোলাইয়ের মধ্যে দিয়েই টেস্টে ডি'কক যুগে প্রবেশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাঁদের পরবর্তী গন্তব্য পাকিস্তান। যেখানে আরো একটি সিরিজে জৈব সুরক্ষা বলয়ে খেলতে হবে তাদেরকে। আর প্রতিপক্ষের চেয়ে নব্য স্বাভাবিক এই জীবনকে কঠিন ভাবছেন নতুন এই অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে ডি'কক বলেন, 'আমি সেখানে (পাকিস্তান) গিয়ে ক্রিকেট খেলতে উৎসুক কারণ নতুন ধরণের রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। কিন্তু মাঠের বাইরের চ্যালেঞ্জ ভিন্নরকম। আমার মনে হয় সেখানকার জৈব সুরক্ষাবলয় জীবন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে অপেক্ষা করছে।'
'এটি খুবই অতিষ্টকর ও স্নায়ুচাপের। এটি এমন সব ছোট ছোট বিষয়কে একত্রিত করে যেটিতে আমরা একেবারেই অভ্যস্ত নই। এর সঙ্গে যুক্ত হয় একটি বদ্ধ জায়গায় অনিশ্চয়তা নিয়ে রেখে বন্দী হয়ে থাকা,' তিনি যোগ করেন।
গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই সুরক্ষা বলয়ে রয়েছেন প্রোটিয়া খেলোয়াড়রা। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রঙ্গিন পোশাকে এবং শ্রীলঙ্কাকে সাদা পোশাকের সিরিজে আতিথ্য দিয়েছে তাঁরা। কিন্তু বিদেশের মাটিতে প্রথমবার এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবে দলটি। যদিও অনিশ্চিত ও অন্যভ্যস্ত এই জীবনের সঙ্গেই মানিয়ে নেয়ার সেরা উপায় বের করেই চলতে হবে এটিও মানেন ডি'কক।
তিনি আরো বলেন, 'নিজে থেকে ভাবা সবথেকে খারাপ একটি দৃশ্য এইটি। কিন্তু বর্তমানে এর সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সম্ভাব্য সেরা উপায় খুঁজে আমাদেরকে চলতে হবে।'
সর্বশেষ সফরে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে পাকিস্তানে পা রাখবে সফরকারীরা। ২০০৭ সালের সেবারের ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে স্বাগতিকদের হারিয়েছিলো প্রোটিয়ারা। জয়টি এসেছিলো করাচীতে। আর সেই ভেন্যুতেই ২৬ জানুয়ারি মুখোমুখি হয়ে এবারের সিরজও শুরু করবে দুই দল। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে তারা লড়বে রাওয়ালপিন্ডিতে।