প্রথমবার এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজিত হয়েছিল ১৯৯৮-৯৯ সালে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ২০০১-০২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এশিয়ান টেস্ট ক্রিকেটের দ্বিতীয় আসর। যেখানে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। অথচ সেই আসরে নাকি পাকিস্তানের সাবেক পেস বোলার আসিফের মুখোমুখি হয়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সকে!
সম্প্রতি আসিফের প্রশংসা করতে গিয়ে এ ধরণের মিথ্যাচার করেছেন তারই স্বদেশী সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার। অথচ ডি ভিলিয়ার্সের টেস্ট অভিষেক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৪ সালে। অন্যদিকে আসিফের অভিষেক ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এশিয়া অঞ্চলের বাইরের দেশ হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার কথা নয়। তাছাড়া ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া এই টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসরে ডি ভিলিয়ার্স এবং আসিফের মুখোমুখি হবারও কথা নয়।
কেননা তখনো এই দুজনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই ঘটেনি। কিন্তু এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আসিফের মুখোমুখি হয়ে ডি ভিলিয়ার্সকে নাকি রীতিমত কাঁদতে দেখেছিলেন শোয়েব! ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতা আর মাত্র ৭২ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আসিফকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বাঁহাতি পেস বোলার ওয়াসিম আকরামের থেকে ভালো বোলার হিসেবে আখ্যায়িত করতেও ছাড়েননি শোয়েব।
এ প্রসঙ্গে স্পোর্টস টুডেতে তিনি বলেন, 'ওয়াসিম আকরামের চেয়েও যাকে আমি ভালো বোলিং করতে দেখেছি সে হলো মোহাম্মদ আসিফ। আসিফের মুখোমুখি হওয়া ব্যাটসম্যানদের আমি রীতিমত কাঁদতে দেখেছি। লক্ষণ (ভিবিএস লক্ষণ) একবার বলেছিলেন, আমি কীভাবে তার (মোহাম্মদ আসিফ) মুখোমুখি হব! এবি ডি ভিলিয়ার্স তো এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময় আক্ষরিক অর্থে কাঁদতেই শুরু করেছিল।'
৩৮ বছর বয়সী আসিফ ক্রিকেটে ভালো ফলাফলের চেয়ে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে একাধিকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন। ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৭২ টি। যার মধ্যে ২৩ টেস্ট খেলে ২.৯ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১০৬ উইকেট। ৫ উইকেট শিকার করছেন মোট সাতবার। টেস্টে দারুণ সাফল্য পেলেও ওয়ানডেতে সে রকম সাফল্য আসেনি তাঁর।
আসিফ ৩৮ ওয়ানডে খেলে ৪৬ উইকেট শিকার করেছেন। ২০১০ সালে ক্যারিয়ারের উড়ন্ত সময়ে ওপেনার সালমান বাট ও পেসার মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যে জন্য জেল পর্যন্ত যেতে হয়েছিল তাকে। দীর্ঘ সাত বছর ক্রিকেট থেকে নির্বাসন কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও জাতীয় দলে আর সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর।