বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। টুর্নামেন্টের সেরা হওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও তিনি। এমন সাফল্যে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা। শুক্রবার ম্যাচ শেষে পুরো টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের মনে ত্রাস সৃষ্টি করার কারন হিসেবে মোস্তাফিজ সামনে এনেছেন করোনার সময়টাতে ফিটনেস নিয়ে বাড়তি কাজটাকেই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০১৫ সালে আবির্ভাবের পর আলোড়ন তুলেছিলেন মুস্তাফিজ। টানা ২ বছর ফর্মের তুঙ্গে থাকলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ ইনজুরি থেকে ফিরে যেন নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না তিনি। তবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আবার যেন স্লোয়ার-কাটারে পুরনো সেই ধার ফিরে পেয়েছেন মুস্তাফিজ। পুরো টুর্নামেন্টেই বাঁহাতি এই পেসার প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন।
২০১৮-১৯ সালের বিপিএল আসরে সাকিব ২৩ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েন। বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত যেকোন পর্যায়ের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের এক আসরে এটাই ছিলো সর্বোচ্চ উইকেট। এবার মোস্তাফিজের সামনে সুযোগ ছিলো সাকিবকে টপকে যাওয়ার। মাত্র দুই উইকেটের জন্য শেষ পর্যন্ত সাকিবকে টপকাতে পারেননি মোস্তাফিজ। ১০ ম্যাচে মাত্র ৬.২৫ ইকোনমি ও ১১.০৪ গড়ে ২২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
মোস্তাফিজের এমন বদলে যাওয়ার বিশেষ কোন রহস্য নেই। করোনা কালের লম্বা বিরতিতে মোস্তাফিজ ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে যার ফল পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘করোনার বিরতির সময়টাতে, আমি চিন্তা করেছি কিভাবে আমি ফিট থাকতে পারি? আমি জিম এবং রানিংয়ের চেষ্টা করেছি। এমন চেষ্টার পর ফল পেয়ে এখন খুব ভালো লাগছে।’
মোস্তাফিজ জানালেন, করোনার সময়টাতে কেবল তিনিই ফিটনেস নিয়ে বাড়তি কাজ করেননি। অনেক ক্রিকেটারই নিজেদের মতো করে চেষ্টা করেছে, ‘শুধু আমার কথা বলছি না। ব্যাটসম্যান বলেন, বোলার বলেন -সবাই ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছে। করোনার এই ৬ মাস সবাই বসে ছিল। খেলা শুরু হওয়ার আগে সবাই যে কাজগুলো করেছে, সেগুলোর ফল এখন অনেকেই পাচ্ছে।’