পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) মুলতান সুলতানের হয়ে খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল মাহমুদউল্লাহর। কিন্তু যাওয়ার আগে দুই দফা করোনা টেস্ট করিয়ে দূর্ভাগ্য সঙ্গী হয় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের। তবে ৮ দিনের ব্যবধানে করোনামুক্ত হয়েছে মাহমুদউল্লাহর। এই মুহুর্তে শারীরিক ভাবেও পুরোপুরি সুস্থ আছেন মাহমুদউল্লাহ।
৮ নভেম্বর করোনা টেস্ট করিয়ে অবাক হতে হয় মাহমুদউল্লাহকে। পিএসএল খেলতে যেতে না পেরে ভীষন হতাশা গ্রাস করে মাহমুদউল্লাহ মনে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ খেলা নিয়ে মনের মাঝে তৈরি হয় সংশয়। অবশেষে সকল সংশয় কাটিয়ে করোনা মুক্ত হয়েছেন তিনি। নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাহমুদউল্লাহ।তিনি বলেছেন, ‘গত কয়েকদিন অনেক কষ্ট হয়েছে। একা একা বাচ্চাদের ছাড়া থাকাটা ভীষন কষ্টের। তবুও সবার স্বার্থেই কষ্টটা মেনে নিয়েছে। আজকে রেজাল্ট পেয়েছি। আমার করোনা নেগেটিভ। এই মুহুর্তে আমারা শারীরিক কোন সমস্যা নেই। আমি পুরোপুরি সুস্থ।’আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। এই টুর্নামেন্টে মাহমুদউল্লাহ খেলবেন জেমকন খুলনার হয়ে। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহকে একসঙ্গেই দলে ভিড়িয়েছে খুলনা।
একসঙ্গে দুই আইকনকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত জেমকন খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ, ‘ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কখনোই দেশের দুইজন সেরা ক্রিকেটারকে একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা আশাই করিনি যে মাহমুদউল্লাহকে আরেকটি দল নেবে না। আমরা খুবই আনন্দিত প্রথমে খুলনার ছেলে সাকিবকে পেয়েছি। সাকিব অনেকদিন পর খুলনার হয়ে খেলবে। আর মাহমুদউল্লাহ বিপিএলে আমাদের সঙ্গে ছিল। ঘরের ছেলে দুজনেই আবার ঘরে ফিরেছে।’আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। ২১ নভেম্বর থেকেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে যাবেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা। এরপর ২১ তারিখ থেকে কয়েকদিন অনুশীলন করে টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন তারা। মাহমুদউল্লাহও সেটাই ভাবছেন।