My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


তৃতীয় দিন শেষে ২১৮ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষটার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর অনেক মিল। স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ হতেই সাজঘরে তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষ ৬ রানে উইন্ডিজের ৫ উইকেট ধসিয়ে দেয়ার স্বস্তি মিলিয়ে যেতে শুরু করেছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

নতুন বলে ক্যারিবিয়ান অফস্পিনার রাকিম কর্নওয়াল ভয়ঙ্কর রূপ দেখালেও বাংলাদেশকে খুব বড় বিপদে পড়তে দেননি অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রতিরোধ গড়ার মিশনে তার সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।প্রথম ইনিংসে পাওয়া ১৭১ রানের লিড টাইগারদের দেখাচ্ছে জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনাও। ৭ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে ২১৮ রানে। মুমিনুল ৩১ ও মুশফিক ১০ রানে অপরাজিত থেকে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছেন।প্রথম দুটি উইকেট নেন কর্নওয়াল। ডট বল খেলার মহড়ায় প্রতিরোধের চেষ্টা করা সাদমান ইসলামের উইকেট নিয়েছেন পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা এ বাঁহাতি ওপেনার ৪২ বল খেলে করে যান ৫ রান।

বাংলাদেশ যখন তৃতীয় উইকেট হারায়, দলের সংগ্রহ ৩৩। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুমিনুল-মুশফিকের কাঁধে চতুর্থ দিনের বড় দায়িত্ব।উইকেট থেকে স্পিনাররা পাচ্ছেন দারুণ ফায়দা। তাতে লাভ বাংলাদেশেরেই। একাদশে চার স্পিনার। আর শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে হবে তো উইন্ডিজকে।স্পিন চতুষ্টয়ের প্রধান অস্ত্র সাকিব আগেরদিন চোট পাওয়ায় মাঠে নামতে পারেননি শুক্রবার। তার অভাব অবশ্য টের পেতে দেননি তাইজুল-নাঈম-মিরাজ।আট নম্বরে নেমে অসাধারণ এক সেঞ্চুরির পর বল হাতেও দারুণ সফল মেহেদী হাসান মিরাজ। অফস্পিনারের ৪ উইকেট শিকারে উইন্ডিজ গুটিয়ে যায় আড়াইশ পেরিয়ে। ৫ উইকেটে ২৫৩ থেকে হুট করেই ২৫৯-এ থামে সফরকারীরা।

২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম বলেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান এনক্রুমা বোনার (১৭)। ভাঙে ৫১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।পরে বাংলাদেশের পথের কাটা হয়ে ওঠা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে বোল্ড করে দেন নাঈম হাসান। উইন্ডিজ অধিনায়ক ১১১ বলে করেন ৭৬ রান। তার ইনিংসে চারের মার ১২টি।চতুর্থ উইকেট জুটিও ফিফটি পেরোয়। আসে ৫৫ রান। ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গে দারুণ খেলতে থাকা কাইল মেয়ার্স আউট হন ফিফটির আগে, দলের দেড়শর পর। ৪০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে হন এলবিডব্লিউ।

ষষ্ঠ উইকেটে ব্লেকউড ও জশুয়া ডি সিলভা দ্বিতীয় সেশনে উইকেটে জাঁকিয়ে বসেন। ক্লান্ত করে তোলেন টাইগার বোলারদের। দুজনে জুটিতে যোগ করেন ৯৯ রান। ডি সিলভাকে (৪২) উইকেটের পেছনে লিটনের গ্লাভসবন্দি করে জুটি ভাঙেন নাঈম।পরের ওভারে আঘাত হানেন মিরাজ। ফিফটি করা ব্লেকউডকে দেখান সাজঘরের পথ। এবারও উইকেটের পেছনে আরেকটি দুর্দান্ত ক্যাচ নেন লিটন। ৬৮ করে ফিরতে হয় ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানকে। লোয়ারঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা থাকেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।আগেরদিন জোড়া উইকেট শিকার করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তৃতীয় দিন অবশ্য উইকেটের দেখা পাননি। নাঈম-তাইজুলও নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। কুঁচকিতে চোট পাওয়ায় মাঠেই নামতে পারেননি সাকিব। আগেরদিন ৬ ওভার করে মাঠ ছাড়েন।শনিবার ম্যাচের চতুর্থ দিন সাকিব ব্যাট করতে নামতে পারবেন কিনা সেটি নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা। চোটের জায়গায় স্ক্যান করিয়েছেন শুক্রবার। কী অবস্থায় আছেন সেটি জানা যাবে বিসিবির মেডিকেল টিম স্ক্যান রিপোর্ট হাতে পেলে।