সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে ২০১৬ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। কিন্তু হুট করেই সোমবার শ্রীলঙ্কান এই অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। মূলত অভিমানেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঙ্কান এই অলরাউন্ডার।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) সূত্রে জানা গেছে, ৩২ বছর বয়সী পেরেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। পেরেরার এমন সিদ্ধান্তর পেছনে ভূমিকা রেখেছে ওয়ানডে দলে থেকে তার বাদ পড়া। সম্প্রতি এসএলসি নির্বাচকরা তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতে শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে দল থেকে পেরেরাসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার ফলে আসন্ন বাংলাদেশ ও ইংল্যন্ডের মধ্যকার ওয়ানডে সফরের দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে বাদ দিচ্ছে নির্বাচকরা।
এসএলসির একজন উধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসন্ন সীমিত ওভারের সফরের জন্য নির্বাচকরা সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে দিমুথ করুণারত্নে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, দীনেশ চান্দিমাল, সুরঙ্গা লাকমল এবং থিসারা পেরেরাকে বিবেচনা করবেন না। তারা সিনিয়র ক্রিকেটারদের স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ৩২ বছর বয়সী পেরেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিলেও ফ্র্যাইঞ্চাজি ভিত্তিক ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন পেরেরা। চলতি বছরের মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া এই ক্রিকেটারের ওয়ানডেতে দারুন একটি কীর্তি রয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে অন্তত ২ হাজার রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ ১১২.০৮ স্ট্রাইকরেটের মালিক থিসারা পেরেরা। শেষদিকে নেমে ঝড়ো ইনিংস খেলতে দক্ষ এই অলরাউন্ডার। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রেখেছিলেন পেরেরা। এক বছর পর ২০১০ সালের মে মাসে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে এবং ২০১১ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। অবশ্য মাত্র ৬টি টেস্ট খেলেই ২০১৬ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ১৬৬ ওয়ানতে ১৭৫ উইকেটের পাশাপাশি ২ হাজার ৩৩৮ রান করেছেন তিনি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৮৪টি ম্যাচ। সেখানে তার সংগ্রহ ৫১ উইকেটের পাশাপাশি ১ হাজার ২০৪ রান।