২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ৬ বলে ৬ ছক্কায় ইতিহাস হয়ে গেছেন যুবরাজ সিং। ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারে ৩৮ রানের রেকর্ডও আছে।
২০১২ সালে ইংল্যান্ডের ফ্রেন্ডস লাইফ টি-টোয়েন্টিতে সাসেক্সের হয়ে গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৩৭ বলে ১০০ রানের ইনিংসে জেমস ফুলারের ২টি নো বলে বোনাস পেয়ে ৩৮ রানের রেকর্ডটা এখনো অক্ষত স্টাইরিশের।২০১১ সালের আসরে বেঙ্গালুরুর হয়ে কোচি টাস্কার্স কেরালার পরমেশ্বরনের এক ওভারে ৩৭ রান করে আইপিএলে সবচেয়ে খরুচে বোলারের অপবাদ দিয়েছেন ছক্কা মানব গেইল। রবিবার মুম্বাইয়ে গেইলের সেই ঝড়কে মনে করিয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার পেসার হার্শাল প্যাটেলের হাতে শেষ ওভার করার জন্য নির্বাচন করেছিলেন কোহলি। আগের ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট তার শিকার বলেই হার্শাল প্যাটেলকেই যথার্থ মনে করেছেন তিনি। তবে রবীন্দ্র জাদেজা তাকে পাড়া মহল্লা মানের বোলারে নামিয়ে এসেছেন।
তার প্রথম বল লং অন ও ডিপ মিড উইকেটের মাঝামাঝি দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। দ্বিতীয় বল ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। পরের বলটা নো কল শুনে মেরেছেন ছ্ক্কা, ফ্রি হিটেও মেরেছেন ছক্কা !! এই শটে ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন পূর্ন।পরের বলে এক্সট্রা কাভারে দিয়েছিলেন ক্যাচ। ক্যাচটা নিতে পারেনি ফিল্ডার, বরং ফিল্ডারের হাতে লেগে বলের গতি পরিবর্তিত হয়ে পেয়েছেন ২ রান। পঞ্চম বল লং অনের ওপর দিয়ে আবার ছক্কা। শেষ বলে মেরেছেন বাউন্ডারি। তাতেই আইপিএলে এক ওভারে খরুচে বোলারের অপবাদ দিয়েছেন তিনি। স্পর্শ করেছেন গেইলের ৩৭ রান।
জাদেজার ওই বেধড়ক পিটুনির ওভার দেখে ভড়কে গেছে বেঙ্গালুরু।২৮ বলে ৪ চার,৫ ছক্কায় ৬২ রানের হার না মানা ইনিংসে জাদেজা চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোর টেনে নিয়েছেন ৪ উইকেটে ১৯১। শুধু ব্যাটিংই নয়, বাঁ হাতি স্পিনার জাদেজা বল হাতে ১৩ রান খরচায় নিয়েছেন তিনটি উইকেট। লেগ স্পিনার ইমরান তাহির ১৬ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন। জাদেজার এই অল রাউন্ড পারফরমেন্সে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৬৯ রানে হারিয়েছে চেন্নাই। চলমান আসরে প্রথম হার দেখেছে বেঙ্গালুরু। দু'দলের সংগ্রহ ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট।