মার্চে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে মাঠে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরাতে চায় দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) । মঙ্গলবার থেকে শুরু হলো ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর কার্যক্রম। 

এদিন মিরপুরের ইনডোরের মাঠে ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিয়েছেন ঢাকা মেট্রো, রাজশাহী ও রংপুর দলের খেলোয়াড়রা। ধারাবাহিকতভাবে বাকি দলগুলোর খেলোয়াড়রাও ইয়ো ইয়ো টেস্ট দেবেন। বিসিবি টুর্নামেন্ট কমিটির ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শেষ হওয়ার পরই প্রেসিডেন্ট স্যার আমাদের নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছিলেন করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানো হবে। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।’ 

‘ক্রিকেটাররা অনেকেই ভ্যাকসিন নিয়েছে। সামনে আরও নেবে। এখন ফিটনেস অ্যাসেসমেন্ট হচ্ছে। বছরে মোট তিনটা ফিটনেস অ্যাসেসমেন্ট হবে। ওইটার প্রথম পর্ব আজ শুরু হলো। ’ ‘আয়ারল্যান্ড এইচপি দল (আয়ারল্যান্ড উলভস) সফর শেষ করার পর আমরা লিগ শুরু করতে পারবো। ২০-২২ মার্চ শুরু করার ইচ্ছে আছে। এবারও দুই স্তরের টুর্নামেন্ট হবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।’ অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাই করা হচ্ছে বিপ টেস্ট দিয়ে। এবার থেকে ইয়ো ইয়ো টেস্ট চালু করেছে বিসিবি। যদিও গত অক্টোবরে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের ক্রিকেটাররা ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিয়েছিলেন। এবার সব ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট দেবেন ইয়ো ইয়ো টেস্টে। 

ইয়ো ইয়ো টেস্ট ও বিপ টেস্টের মূল পার্থক্য বিরতিতে। বিপ টেস্টে বিভিন্ন ধাপে টানা দৌড়াতে হয়। কোনো বিরতি থাকে না। ইয়ো ইয়ো টেস্টে বিভিন্ন ধাপে দৌড়াতে হয়। সেখনে ১০ সেকেন্ডের বিশ্রাম নেওয়া যায়। ইয়ো ইয়ো টেস্ট হয় আউটডোরে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশ ফিটনেস টেস্টের জন্য ইয়ো ইয়ো টেস্ট ব্যবহার করে। মিরপুরে আজ পরীক্ষা দিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোর ওপেনার শামসুর রহমান। ১৮ ফল পাওয়া শামসুর নিজের সন্তষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘দুইটা টেস্টই কাছাকাছি। তবে ইয়ো ইয়ো টেস্টকে এগিয়ে রাখবো। ক্রিকেটারদের মাঠে গিয়ে যেরকম পরিস্থিতি অনুযায়ী ফিটনেসের প্রয়োজন এটা সেরকমই। আমি বলবো ভালো। এটা আবার দীর্ঘ মেয়াদী। যেমন আজ ১৮ পেয়েছি। তিন মাস পর আবার আমার টেস্ট হবে। তখন আমাকে টার্গেট দেওয়া থাকবে যেন ১৮.৫ করি বা এরকম। ’