My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


দলের ফিল্ডিংয়ে হতাশ ছিলেন মুশফিক

বরিশালকে হারিয়ে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন মুশফিকুর রহিম। এলিমেনেটর রাউন্ডের ম্যাচের পুরোটা সময় উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিককে উত্তেজিত দেখা গেছে। বিরক্ত মুশফিক ফিল্ডারদের উপর উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বার বার এমন ঘটনায় দুইবারতো স্পিনার নাসুম আহমেদের উপর চড়াও হয়েছিলেন মুশফিক! ঠিক কি কারনে মুশফিকে এমনটা করলেন পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চে সেটি অবশ্য পরিষ্কার করেনি। তবে তিনি জানিয়েছেন ফিল্ডিং নিয়ে তিনি হতাশ ছিলেন।

ফাইনালে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে বরিশালেকে হারাতেই হতো ঢাকাকে। ফিল্ডং ফিল্ডিংয়েল সুযোগ নিয়ে আফিফ রান আউটের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। ৫৫ রানের ইনিংস খেলা বরিশালের এই ব্যাটসম্যান হুমকি হয়ে উঠছিলেন ঢাকার জন্য। সবমিলিয়ে তাই হতাশা গ্রাস করেছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। 

পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চে মুশফিক জানিয়েছেন, ‘আমি সত্যিই হতাশ ফিল্ডিং নিয়ে। কিন্তু এটা খেলারই অংশ। কিন্তু বোলাররা এই ছোট লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে গিয়ে সবসময়ই সুযোগ তৈরি করেছে এটা ইতিবাচক দিক। আমি মনে করি আমাদের ভালো আত্ববিশ্বাস আছে আগামীকালকের ম্যাচের জন্য। আশা করি আমরা ভালো কিছু প্ল্যান নিয়ে এগোবো যা মাঠেও প্রয়োগ করতে পারবো।’এরপরই সঞ্চালকের করা প্রশ্নে নাসুমের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন মুশফিক, ‘আলহামদুলিল্লাহ। সব কিছু ঠিক আছে। জয়ের মধ্যে থাকলেও ব্যক্তি এবং দল হিসেবে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে আরও। সুতরাং আগামীকাল আরেকটা ম্যাচ আছে, আশা করি জিতবো।’

আগে ব্যাটিং করে ঢাকা ১৫০ রানের লক্ষ্য দেয় বরিশালকে। মুশফিকের মতে এই লক্ষ্য জয়ের জন্য যথেস্ট ছিল, ‘আমি ভেবেছিলাম উইকেট বাটিংয়ের জন্য দারুণ হবে। যখন আমরা দুই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলি, তখন বোঝা যাচ্ছিল উইকেটে টার্ন আছে, সুইং আছে। আমরা যে লক্ষ্য দিয়েছি তা ভালো স্কোরই বলতে হবে। আমরা জানি এটা নক আউট গেম, এখানে রান তাড়ায় চাপতো থাকবেই। আমাদের লক্ষ্য ছিল তামিমকে দ্রুত ফেরানো। কারণ তাদের মিডল অর্ডার অনভিজ্ঞ ছিল। আমি মনে করি রাব্বি দারুণ ব্যাট করেছে, আকবর ছোট্ট একটা ক্যামিও দেখিয়েছে, আর জয়ের জন্য আমাদের বোলারদেরও কৃতিত্ব দিতে হয়।’