বেশিরভাগ নিয়মিত ক্রিকেটারকে ছাড়াই বাংলাদেশ সফরে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পূর্ণ শক্তির দল নিয়েও বাংলাদেশে এসে বেশ কয়েকবার ভুগতে হয়েছে ক্যারিবীয়দের। যদিও এবার খর্ব শক্তির দল নিয়েও তরুণদের নিয়ে বেশ আশাবাদী দলটির ওয়ানডে অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ।
বাংলাদেশ সফরে আসেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। এর মধ্যে রয়েছেন দলটির টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার এবং ওয়ানডে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড।সেই সঙ্গে ড্যারেন ব্রাভো, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হ্যাটমায়ার এবং নিকোলাস পুরানরাও নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন এই সিরিজ থেকে। আর একারনেই অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব পড়েছে জেসনের উপরে।
অভিজ্ঞদের অবর্তমানে পাওয়া সুযোগকে তরুণরা দুই হাত ভরে গ্রহণ করবে বলে আশাবাদী জেসন। আর তরুণদের অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধা না হলেও তাদের দক্ষতার উপরেই আস্থা রাখছেন এই অধিনায়ক। নিজেদের প্রতিভা প্রমাণের আদর্শ মঞ্চও এটি, এমনটিই বলেছেন ক্যারিবীয়ান দলপতি।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জেসন বলেছেন, 'আমার তাদেরকে (তরুণ)আশ্চর্যজনক উত্থান মনে হয়না। কোন একজনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাইনা। নতুন ছেলেরা দারুণ দক্ষ। আশা করি তারা নিজেদের মেলে ধরবে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রতীভার কমতি নেই তা প্রমাণ করবে।'
'আরো বেশি চাপের কথা ভাবছিনা, কারণ তারা সবাই আন্তর্জাতিক অভিষেকের অপেক্ষায় আছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা কতটুকু প্রস্তুত তা প্রমাণ করার আদর্শ সুযোগ এটি,' তিনি যোগ করেন।
ঘরের মাঠে স্পিন বান্ধব উইকেট বানিয়ে শেষ সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইট ওয়াশ করেছেন সাকিব-তাইজুলরা। আর এ কারণেই সফরকারীদের আশার আলো বাঁহাতি অলরাউন্ডার আকিল হোসাইন। মাঠের তিন বিভাগেই দারুণ পারদর্শী রয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায়। আর তিনি নিজেকে মেলে ধরবেন বলে আশাবাদী তার জেসন।
তিনি আরও বলেন, 'সে (আকিল) দারুণ একজন অলরাউন্ডার। বাঁহাতি অর্থডোক্স বোলার। সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য হতে পারে। সে বল থেকে দারুণ স্পিন আদায় করে নিতে পারে একই সঙ্গে অপূর্ব আর্ম বল করতে পারে। ব্যাট হাতে কার্যকরী একই সঙ্গে ফিল্ডিংয়েও ভালো।আকিল হোসাইনের দিকে আমি তাকিয়ে আছি। আশা করি সে তিনি দলে এসে প্রদর্শন করতে পারবে এবং ভাল করতে পারবে।'
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে চলতি মাসের ২০ তারিখে মিরপুর শের-ই-বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।