করোনা সময়টাতে প্রতিটি দেশেই জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্য থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে গড়াচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) ইতিমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি সিরিজ সফল ভাবে আয়োজন করেছে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগেই জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও রবিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং শ্রীলঙ্কার টিম ম্যানেজরা মানুজা কারিয়াপেরুমাও জানালেন জৈব সুরক্ষা বলয় ঠিকই আছে!
ম্যাচের আগের দিন বেশ কিছু ঘটনায় জৈব সুরক্ষা বলয় অরক্ষিত হয়ে পড়েছিল। একাডেমির পাশে ক্রিকেটারদের জিম। স্বাভাবিক ভাবেই ক্রিকেটারদের ওখানে অবাদ যাতায়াত। কিন্তু বিসিব শনিবার একাডেমির সামনে টাইটেল স্পন্সর ঘোষণার সংবাদ সম্মেলন করে। ফলে সাংবাদিক ও সংবাদ সম্মেলনে আগত অতিথিদের মাধ্যমে বলয় ভাঙ্গার সুযোগ থেকেই যায়! শুধু তাই নয় বিসিবির আইরন গেট দিয়ে ঢুকতে হলে বিশেষ অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের প্রয়োজন হয়। অথচ দেখা গেল অনেকেই কোন ধরনের অ্যাক্রিডিটেশন ছাড়াই মাঠে ঢুকেন। ড্রেসিংরুমের সামনে সেলফিও তুলছেন!
এমন ঘটনার পর শনিবার রাতে লঙ্কান কোচ চামিন্দা ভাস এবং দুই ক্রিকেটার ইসুরু উদানা ও শিরান ফার্নান্দো করোনা পজেটিভ হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় পরীক্ষায় দুইজনের করোনা নেগেটিভ আসলেও ফার্নান্দোর পজেটিভই আসে। তবে কী বলয় ভেঙ্গে যাওয়াতেই এমন অবস্থা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানালেন, ‘আমাদের আইসিসির একটা গাইডলাইন আছে। আমাদের এখানে যেটা হয়েছে শ্রীলঙ্কার তিন জনের পজেটিভ এসেছে, আগের টেস্টগুলোতে নেগেটিভ ছিল। আমাদের জানামতে আমাদের বায়ো বাবলে নেগেটিভ কারও গিয়ে পজেটিভ হওয়াটা অস্বাভাবিক। তারপরও হতে তো পারেই। কাজেই এটা নিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যেটা খুব চিন্তার বিষয়। তবে অবশ্যই আমরা সতর্কতা আরও বাড়াব।’
এদিকে শ্রীলঙ্কার টিম ম্যানেজরা মানুজা কারিয়াপেরুমা জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে প্রশংসা করলেন, ‘এটা প্রশংসনীয়, দুই বোর্ডের পারস্পরিক সম্পর্ক দারুণ। কোনো কিছু যদি থাকেও, আমরা এক হয়ে ঠিকঠাক করে ফেলি। কোনো সমস্যাই তাই নেই। দুই বোর্ডের বোঝাপড়া দুর্দান্ত। আমাদের দুজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের একজন সদস্য পজিটিভ হয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় পরীক্ষায় দুজনের নেগেটিভ আসে। এই ব্যাপারগুলি হয়ই। ফলস পজিটিভ বলে একটি ব্যাপার আছে, এখানেও তেমন কিছু হয়ে থাকতে পারে।’তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘বিসিবি সম্ভব সব চেষ্টাই করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, নিউ নরম্যালের মধ্যে সম্ভব সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ে অন্য কোনো দেশে গেলে এসব বুঝতে হবে এবং মানিয়ে নিতেই হবে।’