বল ভেতরে ঢোকাতে না পারাতেই লাল বলের চুক্তিতে ছিলেন না মোস্তাফিজ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মোস্তাফিজের বোলিংয়ের বৈচিত্র্য আসায় তাকে আবার টেস্টের বিবেচনায় রাখা হয়েছে। বুধবারের ম্যাচে বেশ কিছু বল ভেতরে ঢুকাতে পেরেছেন মোস্তাফিজ। বোলিং কোচ ওটিস গিবনের শিষ্যকে সামনের ম্যাচগুলোতে নাকি অন্য ভাবে দেখা যাবে। এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ।
কাটারে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য বল আড়াআড়ি বের করার দক্ষতা তার ছিলই। তবে চাহিদা ছিল ডানহাতি ব্যাটসম্যানের বেলায় বল ভেতরে ঢুকানোর। সেটি নিয়েই গিবসনের সঙ্গে কাজ করেছেন মোস্তাফিজ। গিবসনের দেখানো গ্রিপে কাজ করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে এই দক্ষতা দেখাতে পেরেছেন তিনি।বুধবার মিরপুরে মিডল স্টাম্পের উপর পিচড করা বল খানিকটা স্যুয়িং করে ভেতরে ঢুকতেই সুনিল আম্রিস পরিষ্কার এলবিডব্লিউ। আম্রিসকে ইনস্যুয়িংকে কাবু করার পর জশুয়া ডি সিলভাকে কাটারে করেন পরাস্ত মোস্তাফিজ। সবমিলিয়ে ৬ ওভারে ২০ রান দিয়ে ক্যারিবিয়ান দুই ওপেনারকে আউট করেন বাংলাদেশের এই কাটার মাস্টার।
বাঁহাতি পেসারদের জন্য ইনস্যুয়িং বড় অস্ত্রের নাম। স্বভাবজাত কাটারের সঙ্গে এই অস্ত্র যুক্ত হলে আর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন মোস্তাফিজ। সেটাই জানালেন ওটিস গিবসন, ‘সে অনেক পরিশ্রম করেছে। তার (মোস্তাফিজ) সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাও বেশ ভালো। তার সাথে কাজ করা আনন্দদায়ক। আমরা চেষ্টা করছি বল ভেতরে ঢোকানোর, আমরা অনেক কিছু নিয়েই কাজ করেছি, তার কবজির পজিশন থেকে শুরু করে অনেক কিছুই। সে ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছে যে সে তার কবজির পজিশন ঠিক জায়গায় আনলে বল ভেতরের দিকে সুইং করাতে পারে। আশা করছি সে এখান থেকে আরও ভালো করবে এবং সামনের ম্যাচ গুলোয় আপনারা আরও বল ভেতরের দিকে সুইং করানো দেখতে পারবেন।’