প্রথম লেগে জিতেছিল জেমকন খুলনা। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দ্বিতীয় মুখোমুখিতেও তামিমের দল ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছেন মাহমদুউল্লাহ খুলনা। এদিন খুলনা দেওয়া ১৭৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১ বল বাকি থাকতে ১২৫ রানে অলআউট হয় বরিশাল। ফলে ৪৮ রানের জয় পায় সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের নিয়ে গড়া দলটি। এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শক্ত অবস্থানে পৌঁছে গেল শিরোপা প্রত্যাশী এ দলটি।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে খুলনা ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহ পায়। এই রানের জবাব দিতে গিয়ে বরিশালের ওপেনিং জুটিটা ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তামিম ইকবাল ও পারভেজ হোসেন মিলে ৫৭ রান তোলের স্কোরবোর্ডে। পারভেজ ২৬ বলে ১৯ রান করে আউট হওয়ার পরই ছন্দপত ঘটে বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যর্থতা সঙ্গী করা অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ৩ রান করে রান আউটের শিকার হন। তার আগে অবশ্য দারুন শুরু করা অধিনায়ক তামিম ফিরে যান শুভাগত শিকার হয়ে। লং অনে আরিফুলকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে ২১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় তামিম ৩২ রান করেছেন।
এরপর তৌহিদ ও ইরফানের উপর দায়িত্ব বর্তায়। কিন্তু কঠিন এই দায়িত্ব কাঁধে নিতে পারেননি তারা। ইরফান ২০ বলে ১৬ রান করে সাকিবের শিকার হন। তৌহিদ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। ২৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় তিনি তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন। তাদের বিদায়ের পরই বরিশালের পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতেই ১২৫ রানে অলআউট হয় বরিশাল।খুলনার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফর বোলার শহিদুল ইসলাম। ১৭ রান খরচায় তার শিকার দুই উইকেট। এছাড়া ১৮ রান খরচায় শুভাগত হোমের শিকার ২ উইকেট। হাসান মাহমুদও ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট। এছাড়া সাকিব ২২ রানে নিয়েছেন একটি এবং আল আমিন ৩১ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে খুলনা। গত চার ম্যাচের ব্যর্থতায় টিম ম্যানেজমেন্ট ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন আনে। একাদশ থেকে বাদ পড়েন এনামুল, তার বদলে সুযোগ পান আরেক উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাকির। তবে আজও ওপেনিং জুটি ভালো করতে পারেনি। দলীয় ১৯ রানে বিদায় নেন ২ রান করা জহুরুল ইসলাম।দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে জাকির ৯০ রানের জুটি গড়েন। ইমরুল ৩৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৩৭ রান। এরপর সঙ্গীকে হারিয়ে খেই হারান জাকিরও। তার আগে অবশ্য টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তাসকিন আহমেদের একটি স্লোয়ার কাভারে খেলতে গিয়ে তৌহিদের তালুবন্দী হয়ে ৪২ বলে ৬৩ রানে বিদায় নেন। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসটি এই তরুণ সাজিয়েছেন ১০ বাউন্ডারিতে।
গত দুই ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামা সাকিব চার নম্বরে ফিরে গেছেন। যদিও এখানেও সুবিধা করতে পারেননি। ১০ বলে ২ চারে ১৪ রান করেছেন তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহর ১৪ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে বড় সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা।বরিশালের সবচেয়ে সফল বোলার কামরুল ইসলাম। ২৫ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ৪৩ রানে ২টি ও তানভীর আহমেদ ১৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন।