My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


বোলারদের প্রশংসায় ভাসালেন তামিম

খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শূভ সূচনা করেছেন তামিম। গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে মাশরাফির অধ্যায় শেষ হয়। দায়িত্ব ছাড়ার পর তামিমের কাঁধে ওয়ানডে নেতৃত্ব চাপে। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে বাজে শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিয়ে সফল তামিম। 

বুধবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে ৬ উইকেট জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এমন জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বোলারদের। শুরু থেকেই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন মোস্তাফিজ-সাকিব-হাসানরা। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চে বোলারদের প্রশংসায় ভাসালেন ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের নতুন কান্ডারি।

শুরুতেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দারুন শুরু করেন মোস্তাফিজ। এরপর মোস্তাফিজের দেখানো পথে হাটের সাকিব। দেড়স বছর পর আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলতে নেমে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এরপর অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ নেন তিনটি উইকেট। সবমিলিয়ে বোলারদের দাপটে ১২২ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। বোলারদের প্রশংসা করে তামিম বলেছেন, ‘আমাদের বোলাররা প্রত্যাশা মতো বোলিং করেছে। মোস্তাফিজ শুরু থেকেই দূর্দান্ত ছিল। রুবেলের শুরুটা ভালো হয়েছে। তরুণ হাসান প্রত্যাশমতো পারফরম্যান্স করেছে। পেসারদের পাশাপাশি আমাদের স্পিনাররা ভালো ছিল। বিশেষ করে সাকিব বোলিং খুব ভালো হয়েছে। মিরাজ ভালো করেছে।’

পুরো দিনে সূর্যি উঁকি দেয়নি। ফলে উইকেট কিছুটা ছিলো ভেজা। এমন উইকেটে ব্যাটিং করাটা বেশ কঠিনই ছিল দুই দলের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১২৩ রান তাড়া করতে নেমে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারাতে হয়েছে স্বাগতিকদের। তামিম অবশ্য উইকেটের দোষ দিচ্ছেন না, ‘উইকেটে ব্যাটিং করা খুব কঠিন ছিল। এখানে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা বেশ কঠিন। শুরুতে আমার উইকেট দেখে তেমন ধারনাই হয়েছিল। কিছুই করার ছিলো না, কেননা সূর্য উঠেনি। সত্যিকার অর্থে কাউকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই। এই ধরনের উইকেটে ধৈর্য সহকারে বুঝে শুনে ব্যাটিং করতে হয়।’