সাদা জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার স্বপ্ন নিয়ে যে কোনও আম্পায়ার ক্যারিয়ার শুরু করেন। ক্রিকেট মাঠের চিরচেনা সেই দৃশ্যে বাংলাদেশের আম্পায়ারদের অংশগ্রহণ সামান্যই। সীমিত পরিসরে অংশগ্রহণ থাকলেও টেস্ট ক্রিকেটে কার্যত দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে! সেটা মুছে আজ বাংলাদেশের পঞ্চম টেস্ট আম্পায়ার হলেন রয়েছেন শরফউদ্দৌলা সৈকত। সেই সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি ম্যাচে রেফারি হিসেবে পথচলা শুরু করলেন নিয়ামুর রশিদ রাহুল। দুজনের টেস্ট ক্রিকেটে পথ চলা শুরু হলো বন্দরনগরীতে।
এ ম্যাচ দিয়ে করোনা পরবর্তী সময়ে একজন করে নিরপক্ষে আম্পায়ারকে ম্যাচ পরিচালনায় নিয়োগ করেছে আইসিসি। ২০০২ সালের পর টেস্ট ম্যাচে স্বাগতিক দেশের দুইজন আম্পায়ার মাঠে ম্যাচ পরিচালনা করতে পারেননি। ১৯৯৪ সালে আইসিসি প্রতি টেস্টে একজন নিরপেক্ষ আম্পায়ার নিয়োগ বাধ্যতামূলক করেছিল, যা আট বছর পরে বাড়ানো হয়েছিল।বাংলাদেশের মাত্র চারজন আম্পায়ার পাঁচটি টেস্ট ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ ২০১২ সালে নেপিয়ারে নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে এনামুল হক মনি জিম্বাবুয়ে-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন। আইসিসির নিরপেক্ষ আম্পায়ারের নিয়মটির আগে এএফএম আক্তারুজ্জামান দুটি এবং মাহবুবুর রহমান ও শওকতুর রহমান একটি করে টেস্ট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমান সময়ের আম্পায়ারদের কাছে ‘অপ্রত্যাশিতভাবেই’ এসেছে বড় সুযোগ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আম্পায়াররা আইসিসির নজর কাড়তে পারেন ভবিষ্যতে আইসিসির এলিট প্যানেলেও ঢুকতে পারবেন, একই সঙ্গে নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে বড় দলের ম্যাচগুলোও পরিচালনা করতে পারবেন।শুধু আম্পায়ার নয়, ম্যাচ রেফারিরাও এর অংশ। বাংলাদেশ থেকে আক্তার আহমেদ ও নিয়ামুর আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলভুক্ত ম্যাচ রেফারি। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচে দায়িত্ব পালন করতে পারা একটা সম্মানের ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবে টেস্ট ম্যাচে একটু অন্য আমেজ থাকে সব সময়। টেস্ট ম্যাচে ম্যাচ রেফারিং করা, টস করা, তারপর পুরো ম্যাচের ম্যাচ হেডঅফ পিসিটির সঙ্গে কাজ করা। একটা ধাপ এগিয়ে গেলাম বাংলাদেশের প্রথম হিসেবে। যদিও সব কৃতিত্ব আইসিসির, আমার নিজের ইচ্ছায় তো কোনও কিছু করতে পারবো না। আমি আমার ভালো কাজ করলে সেই স্বীকৃতিটুকু পাবো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহযোগিতা তো সব সময় থাকে।’