করোনা মহামারির মধ্যেও দু’দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বেশ সফলতার সঙ্গেই আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। এই সাফল্যই এবার তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনে জ্বালানি যোগাচ্ছে। মহামারির প্রায় ১০ মাস বিরতির পর অবশেষে জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে বাংলাদেশে। বহুল প্রত্যাশিত এই সিরিজের সফল আয়োজনেও দারুণ আত্মবিশ্বাসী লাল-সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আগেই বলা হয়েছে টাইগার ক্রিকেট প্রশাসন এই আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে মূলত সাম্প্রতিক সময়ে আয়োজিত দুটি টুর্নামেন্ট থেকে। যার প্রথমটি ছিল অক্টোবরে, তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্ট বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ। আর দ্বিতীয়টি নভেম্বর-ডিসেম্বরে; পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপ। অতিমারিকালে এত সংখ্যক ক্রিকেটারদের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরী ও তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার পর দুই দলের সিরিজ আয়োজন ও টাইগার ক্রিকেট প্রশাসনের জন্য কঠিন কোন বিষয় হবে না বলে বিশ্বাস বিসিবি’র সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের।সোমবার হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম চত্বরে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যেই দেখেছেন যে আমরা সফলতার সঙ্গে দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি। প্রথমে ছিল তিন দলের প্রতিযোগিতা (বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ), পরে পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি করি। সেখান থেকে আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ গ্রুপ তৈরী হয়েছে। আমরা মোটামুটি জানি কোন কোন জায়গা বেশি কঠোর হতে হবে ও কোন কোন জায়গায় নজরদারি বাড়াতে হবে। সেগুলো বিবেচনা করে ইতোমধ্যেই আমরা একটি সমন্বয় সভা করেছি। আমরা সবাই বেশ আত্মবিশ্বাসী কেননা আগের টুর্নামেন্টগুলো ছিল তিন দল ও পাঁচ দলের। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আন্তর্জাতিক, দুটি দলের অংশগ্রহনে এটি হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এটা আমাদের জন্য সহজ হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রথমে আমরা যখন প্রেসিডেন্টস কাপ করি তখন আমাদের কিছু সীমাবদ্ধা ছিল। আমরা যখন ভেবেছি এখানে উন্নতি সম্ভব পরবর্তী টুর্নামেন্টে কিন্তু আমরা করেছি। এবং আমাদের বেশ দক্ষ একটি দল গঠিত হয়েছে যারা এ বিষয়ে অবগত ও এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে পারবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছি যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আমাদের দেশে ফিরে আসবে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় আমরা একটি সফল সিরিজ করতে পারব।’ যোগ করেন সিইও।
২০ জানুয়ারি থেকে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে দিয়ে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শুরু করবে ক্যারিবীয়নরা যা শেষ হবে ২৫ জানুয়ারি। এরপর দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট (৩-৭ ফেব্রুয়ারি ও ১১-১৫ ফেব্রুয়ারি)। এই লক্ষ্যে উইন্ডিজ ক্রিকেট দল ঢাকায় পা রাখবে ১০ জানুয়ারি। করোনা অতিমারির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সফরকারীদের জন্য বিসিবি ইতোমধ্যেই কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জানালেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, ‘কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রাথমিকভাবে মোটামুটি আমাদের সাত দিনের একটি প্রস্তুতি আছে। এর মধ্যে প্রথম তিন দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ হোটেলে থাকবে। পরবর্তীতে তাদের করোনা ফলাফল নেগেটিভ হলে তারা অনুশীলন সুবিধাদির মধ্যে চলে আসবে।’