জয়ে ফিরতে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের লিটন দাশকে ফেরানো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল বেক্সিমকো ঢাকার। ১৪৫ রানের তাড়ায় তখন চট্টগ্রামের রান ৩ উইকেটে ৯৬, শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন ৫২ রান।
ঢাকা শিবিরে সেই মুহূর্তে প্রাণ ফিরিয়ে আনলেন শফিকুল ইসলাম। পেসার হিসেবে খেললেও এবার তিনি রাখলেন ফিল্ডিংয়ে ভূমিকা। স্পিনার রবিউল ইসলাম রবিকে স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন লিটন। শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে দাঁড়িয়ে ছিলেন শফিকুল। শুরুতে দুই বা তিন কদম এগিয়ে দিলেন ডাইভ। দুই হাতের মুঠোয় জমে যায় ক্যাচ। ম্যাচে ফেরে ঢাকা। সেখান থেকে ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’ এ টানা তৃতীয় জয় তুলে নেয় মুশফিকুর রহিমের দল।
দারুণ ক্যাচ নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরানোর পর শফিকুল বল হাতে নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের উইকেট। লো স্কোরিং ম্যাচে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে দারুণ অবদান রাখেন বাঁহাতি পেসার। এর আগের দুই ম্যাচে ৩১ রানে নেন ৩ উইকেট এবং ৩ ওভারে ২ মেডেনে ১০ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। অভিষেকেও ছড়িয়েছিলেন দ্যুতি। ৪ ওভারে ৩৪ রানে নেন ২ উইকেট। সব মিলিয়ে ৪ ম্যাচে ৬.৬৬ ইকোনমি রেটে ১০০ রানে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
শফিকুল আর মুশফিক দুজনের বাড়িই বগুড়ায়। নিজ শহরের এ পেসারে মুগ্ধ ঢাকার অধিনায়ক। রোববার ম্যাচ শেষে মুশফিক বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সুন্দর জিনিস কী? আমি তাহলে অবশ্যই বলবো- শফিকুল। যেভাবে সে বল করেছে, বিশেষ করে শেষ তিন ম্যাচে সে অসাধারণ ছিল। তাকে দমিয়ে রাখা ওতোটা সহজ নয়। আমি মনে করি সে যেভাবে ক্রিজে এবং ক্রিজের বাইরে তার কাজটা করেছে, এটা দুর্দান্ত। শুধু তার বোলিংই নয়, সে ফিল্ডিংয়েও ভালো করেছে। আমি মনে করি আমার দলের এই ধরনের ক্রিকেটাররা ভবিষ্যতে অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’
ঢাকা প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর টানা তিন ম্যাচ জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নিজের দল নিয়ে মুশফিক বেশ উচ্ছ্বসিত, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পুরোটাই মোমেন্টামের ওপর নির্ভর করে। কোনও দলই এই ধরনের টুর্নামেন্টে অপ্রতিরোধ্য থাকতে পারে না। সুতরাং আপনি যদি ভালো খেলেন, তিন বিভাগেই ভালো করেন; তাহলে ম্যাচের ফল আপনার দিকেই আসবে।‘