১৯৪৭ সালে লর্ডস টেস্টে বিরাট কোহলিদের মতোই লজ্জায় পড়তে হয়েছিল সুনীল গাভাস্কারদের। সেই ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে ফলো-অনে পড়ে জিওফ আর্নল্ড ও ক্রিস ওল্ডের বোলিং তাণ্ডবের সামনে খরকুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৪২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। এর ফলে ইনিংস এবং ২৮৫ রানের বিশাল জয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। সেই হার থেকেই অ্যাডিলেড টেস্টে কোহলিদের ৩৬ রানে অল আউট হওয়ার দুঃখ আঁচ করতে পারছেন গাভাস্কার।
কোহলিদের কল্যাণেই এবার বিব্রতকর রেকর্ড থেকে মুক্তি মিলেছে গাভাস্কারদের। কারণে অ্যাডিলেড টেস্টে অজিদের বিপক্ষে ৩৬ রানে অল আউট হওয়ার আগে ৪২ রানে অল আউট হওয়া ইনিংসটিই ছিল টেস্টে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর।
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টে প্যাট কামিন্স ও জশ হেজেলউডের আগুনে বোলিংয়ে ৩৬ রানে অল আউট হওয়ার পর ৮ উইকেটে ম্যাচ হেরেছে ভারত। অবশ্য এই ম্যাচে অনুজদের চেষ্টার কমতি দেখছেন না গাভাস্কার।
তিনি চ্যানেল সেভেনের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, 'অস্ট্রেলিয়ার বোলিংকে কৃতিত্ব দিতে হবে, তারা আজ ছিল দুর্দান্ত। ভারতীয়দের প্রচেষ্টায় আজ কোনো ঘাটতি দেখিনি আমি।'
এমন বোলিং আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পনের বিকল্পও দেখছেন না ভারতীয় এই কিংবদন্তি। এমন বোলিংয়ের সামনে রান নেয়াই কঠিন হয়ে যায় বলে মত গাভাস্কারের।
তিনি বলেছেন, '১৯৭৪ সালে এমনই হয়েছিল। লর্ডসে ওভারকাস্ট কন্ডিশনে বল এদিক-সেদিক সুইং করছিল। আমাদের কেউই বাজে শট খেলেনি। আমরা সবাই এলবিডাব্লিউ ও কট বিহাইন্ড হয়েছিলাম। এই কোয়ালিটির বোলিং ও এমন লাইন-লেংথের বলের মুখোমুখি হলে, রান নেওয়া খুবই কঠিন। আজ ভারতের সেটাই হয়েছে।'