আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হিসেবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কা। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দেশ থেকে আসার আগে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে লঙ্কানরা। তারপরও স্বাস্থ্যমন্ত্রাণলয়ের নিয়ম অনুযায়ি তিনদের রুম কোয়ান্টিন থাকতে হবে সফরকারীদের।
বিমানবন্দরে নেমেই সেখান থেকে সরাসরি হোটেলে চলে গেছেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। তিন দিন রুম কোয়ারেন্টিন করার পরই মাঠে নামার অনুমতি পাবেন তারা। রবিবার বিমান বন্দরে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ধারনা দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কায় যে প্রোটোকলে ছিল, আমরা সেরকম প্রোটোকলই তৈরি করেছি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে। প্রথম তিনদিনে একটা কঠোর কোয়ারেন্টাইন অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ খেলোয়াড়েরা তাদের হোটেল রুমে অবস্থান করবেন। বাইরে আসবেন না এই তিন দিন।’
কোয়ারেন্টিনের সময়টাতে কয়েক দফায় করনো পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে লঙ্কান ক্রিকেট দলের, ‘রুম কোয়ারেন্টিনের তিনদিনের মধ্যেই দুটো টেস্ট হবে। আর চতুর্থ দিনের টেস্টের ভিত্তিতে অনুশীননের অনুমতি মিলবে, নিজেদের মধ্যে অনুশীলন। এই পদ্ধতি আমরা যখন শ্রীলঙ্কায় গিয়েছি তখন আমরাও ফলো করেছি।’
বিসিবির চিকিৎসক আরও বলেছেন, ‘মোট চারটা পরীক্ষা হবে। শেষ পরীক্ষাটা করা হবে মূলত দেশ ছাড়ার আগে বিধিনিষেধ অনুসারে। ২০ ও ২১ তারিখ বিকেএসপিতে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে দুইদল আলাদা আলাদা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এরপর ২২ তারিখ একটা কোভিড পরীক্ষা হবে। ওই পরীক্ষার ফলাফলের উপর ২৩ তারিখ থেকে আমাদের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে।’
সমস্ত কিছুই বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনেই হচ্ছে উল্লেখ করে দেবাশিষ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ সরকারের নির্দেশনা অনুসারে আমরা অনুসরণ করছি। সরকার আমাদের যে নির্দেশনা দিচ্ছে সেভাবেই কোভিড প্রটোকল অনুসরণ করার চেষ্টা করছি। প্রত্যেকটা প্লেয়ারের জন্যই, প্রত্যেক দলের জন্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আলাদা আলাদা নির্দেশনা আছে।’